দেবশ্রী মজুমদার, বীরভূম: উচ্চ মাধ্যমিকে সাফল্যে জোড়া মুকুট পেল বীরভূম জেলা। স্বভাবতই খুশির হাওয়া জেলা জুড়ে। একজন বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ষষ্ঠ এবং অন্যজন কলা বিভাগ থেকে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে রাজ্য মেধা তালিকায়।
এবার উচ্চমাধ্যমিকে ৪৯১ পেয়ে রাজ্যে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করলো রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল ভবনের ছাত্র সৌম্যজিত নন্দী।
তার বিষয় ভিত্তিক নাম্বার হলো বাংলায় 94, ইংরেজিতে 99, রসায়নে 99, গণিতে 100, পদার্থবিদ্যায় 86, জীবন বিজ্ঞানে 99। সৌম্যজিতের বাড়ি বীরভূমের রামপুরহাটের রামরামপুরের শান্তিপাড়া এলাকায়। সে রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনের ছাত্র। তার বাবা কাঞ্চন নন্দী। পেশায় আয়াস হাইস্কুলের বাংলা শিক্ষক। মা সন্ধিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। আগামী দিনে সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে চিকিৎসক হতে চায় সে। সৌম্যজিতের গৃহশিক্ষক সেভাবে কেউ ছিলেন না।
তবে সুব্রত মণ্ডল নামে দাদার মতো একজন শিক্ষক ছিলেন। যিনি সৌম্যজিতকে গণিতে খুবই সাহায্য করেছেন বলে জানায় সৌম্যজিত। সৌম্যজিত বলে, যেহেতু মেডিক্যালের দিকে তার ন্যাক ছিল। তাই গণিতে খামতি ছিল। সেটা তার সুব্রত স্যার ছাড়া সম্ভব হতো না। পড়াশোনার বাইরে জীবনানন্দ দাস এবং সুকুমার রায়ের কবিতা পড়তে তার ভালো লাগে। আর ভালো লাগে ক্রিকেট খেলা। জে এল বিদ্যাভবনের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক গৌরচন্দ্র ঘোষ জানান, সৌম্যজিৎ পঞ্চম শ্রেণি থেকেই জে এল বিদ্যাভবনে পড়তো। নিয়মিত স্কুলে আসতো এবং ভালো ফল করতো।
অন্যদিকে, শান্তিনিকেতন নবনালন্দা ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থেকে রাজ্য মেধা তালিকায় উচ্চমাধ্যমিকে কলা বিভাগে পঞ্চম স্থান অধিকার করলো সানন্দা রায়। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৮৪ পেয়ে দশম হওয়ার পর উচ্চ মাধ্যমিকে ফের সানন্দা রায় পঞ্চম হলো শান্তিনিকেতন নব নালন্দা স্কুল থেকে। তার সর্ব মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২ ।
বিষয় ভিত্তিক নাম্বার যথাক্রমে বাংলায় ছিয়ানব্বই, ইংরেজিতে সাতানব্বই, অর্থনীতিতে একশো, ভূগোলে আটানব্বই, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে আটানব্বই, কম্পিউটার এ্যাপ্লিকেশনে নিরানব্বই। সানন্দার মা সোমা দে রায় কীর্ণাহার বালিকা বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষিকা, বাবা বেরপুর হাইস্কুলের ইংরেজি শিক্ষক।
তাঁরাই মেয়ের ইংরেজি দেখতেন। তার বাইরে পাঁচজন গৃহশিক্ষক ছিল। সানন্দা একজন অধ্যাপিকা হতে চায়। তবে পাশাপাশি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছে রাখে। নাচ, গান আবৃত্তিতে তার আগ্রহ আছে। নব নালন্দা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌরগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বরাবরই সানন্দা একজন মেধাবী ছাত্রী।