তেল আবিব, ৬ মে: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার রাফাহ শহরে হামলার হুমকি দিয়ে আসছে ইসরাইল। এবার রাফার পূর্বাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের অবিলম্বে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিল ইসরাইলি সেনাবাহিনী (IDF)। সোমবারই ওই এলাকা খালি করে অবিলম্বে বাসিন্দাদের আল-মাওয়াসি শহরে সরে যেতে বলেছে আইডিএফ। এদিকে, রবিবার রাফাতে ইসরাইলের হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে। হামাসের রকেট হামলায় তিনজন নিহতের জেরে পাল্টা হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরাইল।
গত সাত মাস ধরে চলা লাগাতার ইসরাইলি হামলায় ধ্বংসস্তূপের পরিণত হয়েছে গাজা। মাথা গোজার শেষ আশ্রয়টুকু না থাকায় প্রাণ ভয়ে লাখে লাখে মানুষ রাফা শহরে আশ্রয় নিয়েছে। গাজার ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। এবার ফিলিস্তিনিদের শেষ নিরাপদস্থল রাফাও খালি করার নির্দেশ দিল ইসরাইলি সেনাবাহিনী। আইডিএফ জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজার সর্বত্র হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে, যতক্ষণ না তাদের কাছে থাকা বন্দিদের দেশে ফিরে আসে।
আইডিএফ-এর মুখপাত্র আভিচায় আদ্রাই এক্স-এ লিখেছেন, “ইসরাইলি সেনাবাহিনী মানবিকতার খাতিরে আল-মাওয়াসিতে অঞ্চলে বাসিন্দাদের সরে যেতে আহ্বান জানাচ্ছে। ওই অঞ্চলে হাসপাতাল, তাঁবু, খাবার, জল, ওষুধ এবং অন্যান্য সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা সরবরাহের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং অন্যান্য দেশকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও বলেছেন, “হামাসকে ধ্বংস এবং সব ইসরাইলি বন্দিদের ফিরিয়ে আনা সহ যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে সেনাবাহিনী কাজ করে যাবে। পরিস্থিতির ওপর দাঁড়িয়ে এই প্রক্রিয়াটি ধীরে ধীরে এগিয়ে যাবে।”
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মহল ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছে, ১৫ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল রাফাতে সামরিক অভিযান চালালে তা হবে ‘বিপর্যয়কর’। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি মানুষ। রাষ্ট্রসংঘের মতে, ইসরাইলি হামলার পর থেকে গাজার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ওই অঞ্চলের ৮৫% মানুষ খাদ্য, জল এবং ওষুধের অভাবে মৃত্যুর মুখে ঝুকে পড়ছে।