পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ চাপের মুখে নতি স্বীকার অবশেষে রাহুল(Rahul Gandhi) এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে( priyanka Gandhi) লখিমপুর (Lakhimpur ) যাওয়ার অনুমতি দিল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার।
রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা সহ মোট পাঁচ জনকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চন্নীও লখিমপুরে যাচ্ছেন
লখিমপুর ইস্যুতে গোটা দেশ উত্তাল । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের পুত্র আশিষ মিশ্রের গাড়িতে চাপা পড়ে নিহত হন চার কৃষক এই অভিযোগে উত্তাল হয় গোটা দেশের রাজনীতি।
তৃণমূল থেকে শুরু করে সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব সরব হন এই মর্মান্তিক ঘটনার বিরুদ্ধে।
লখিমপুর যেতে চেয়ে সীতাপুরে আটক হন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও পরে মুক্তি পান প্রিয়াঙ্কা। আজ বুধবার তিনিও যাচ্ছেন লখিমপুর খেরি।
অন্যদিকে অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন তাঁর পুত্র আশিষ মিশ্রের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে তার সত্যতা যদি প্রমানিত হয় তাহলে তিনি পদত্যাগ করবেন
বিজেপির এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আরও দাবি “আমার চালক গাড়ি চালাচ্ছিলেন। দুষ্কৃতীরা পাথর ছুড়লে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং দুই কৃষক গাড়ির নীচে চাপা পড়েন। এর পর তিন বিজেপি কর্মী এবং চালককে পিটিয়ে মারা হয় এবং গাড়িতে আগুন লাগানো হয়।’’।
উল্লেখ্য মৃত চার কৃষকের যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে তাতে কোথাও উল্লেখ নেই গুলির ক্ষতের। বলা হয়েছে চারজন কৃষক মারা গিয়েছেন অতিরিক্ত রক্তপাত এবং টেনে হিচড়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।বিজেপির পক্ষে পালটা দাবি তাদের যে চারজন কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে গাড়ির চালক সহ তার কথা কিন্তু একবারও প্রকাশ্যে আসছেনা।
তবে রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের মতে ২০২৩ সালে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে লখিমপুর খেরির ঘটনা যেমন যোগী সরকারকে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে ঠেলে দিল তার পাশাপাশি বিরোধীদের হাতেও তুলে দিল শক্তিশালি অস্ত্র।