বেজিং, ২ মে: ‘ফ্রিডম টু রাইট ইনডেক্সের’ সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিনে কারাবন্দি লেখকের সংখ্যা বর্তমানে ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। এসব লেখকের অর্ধেকই কারাগারে গেছেন অনলাইনে তাঁদের স্বাধীন মতামত প্রকাশ করার জন্য। অলাভজনক সংস্থা ‘পেন আমেরিকা’ দ্বারা সংকলিত ‘ফ্রিডম টু রাইট ইনডেক্স-২০২৩’ প্রতিবেদনে চিনা লেখকদের ভয়াবহ পরিণতির চিত্র দেখা গেছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা অনুশীলনের জন্য বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বন্দি লেখকের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৩৯জন বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এর মধ্যে তিন ভাগের এক ভাগই আছেন চিনের জেলে। চিনে মতামত প্রকাশের জন্য বর্তমানে ১০৭ জন কারাগারে আছেন, যা অন্য যেকোনও দেশের তুলনায় বেশি। পেন আমেরিকার গণনায় এবারই প্রথমবারের মতো চিনের কারাগারে অবস্থান করা লেখকের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। পেন আমেরিকার গবেষণা পরিচালক জেমস টেগার বলেছেন, ‘এটা নিশ্চিত যে, চিনে মত প্রকাশের জন্য যারা শাস্তি পেয়েছেন তাদের প্রকৃত সংখ্যা এখানে উপস্থাপিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি এবং যারা সেন্সরের মুখোমুখি হয়েছেন বা যারা শাস্তির ভয়ে নিজেদের সেন্সর করেছেন তারা গণনার বাইরে আছেন।’
অনলাইনে সরকারের সমালোচনা করলে সেই লেখককে গ্রেফতার করে থাকে চিনা কর্তৃপক্ষ। তবে সূচকে দেখা গেছে, উইঘুর মুসলিম অধ্যুষিত শিনজিয়াংয়ের লেখকদেরই সর্বাধিক টার্গে করে থাকে চিন সরকার। সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমরা গত এক দশকে কঠোর সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দমন-পীড়নের শিকার হয়েছেন। গুলনিসা ইমিন নামে একজন উইঘুর কবি বর্তমানে সাড়ে ১৭ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে আছেন। অভিযোগ, ‘ওয়ান থাউজেন্ড অ্যান্ড ওয়ান নাইটস’ শিরোনামের একটি কবিতা লিখে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ’ প্রচার করেছেন তিনি।