পুবের কলম প্রতিবেদক: তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ। এরই জেরে দলের এক কর্মীকে নর্দমায় ঢুকিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। লোকসভা ভোটপর্বের মধ্যে ‘গোষ্ঠী কোন্দলের এই ঘটনা বাগুইআটির। এর জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঘটনাস্থান। দফায় দফায় হতে থাকে অশান্তি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থানে প্রথমে পৌঁছয় পুলিশ, এর পর নামানো হয় র্যাফ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বাগুইআটির অর্জুনপুর পশ্চিমপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় এই অশান্তি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের দাবি, এই দুই গোষ্ঠী এলাকার কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর শিবিরের বলে পরিচিত। শনিবার রাতে সঞ্জীব দাস (পটলা) বসেছিলেন চায়ের দোকানে। সেই সময় আচমকা তাঁর উপর হামলা চালায় দলের অন্য গোষ্ঠীর কয়েকজন। অভিযোগ, সঞ্জীব দাসকে তখন কার্যত নর্দমায় ঢুকিয়ে মারধর করা হয়। রড, লাঠি, ইট দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এ দিকে মৃত্যুর খবরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এর পর তুমুল অশান্তি শুরু হয়। রাত ১২টা নাগাদ ঘটনাস্থানে পৌঁছয় পুলিশ। পরিস্থিতি ঠান্ডা করে পুলিশ চলে গেলেও জিইয়ে ছিল অশান্তি। যার পরিণতি হিসাবে এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ । ঘটনাস্থানে ফের পুলিশ পৌঁছলে দেখানো হয় বিক্ষোভ।
মৃত ওই ব্যক্তির মেয়ে জানিয়েছেন, এর আগেও তাঁর বাবার উপর অনেক বার আক্রমণ হয়েছে। একাধিকবার কেসও করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে গেলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কেউ সাহায্য করেননি। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। স্থানীয় কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এই পরিবারকে অনেক বছর ধরে তিনি চেনেন। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ না অন্য কোনও কারণে এই ঘটনা, এটা তদন্তে বোঝা যাবে।