গাজা, ২৬ এপ্রিল: গাজার খান ইউনিস শহরের গণকবর থেকে ইতিমধ্যেই কয়েকশো পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী গুলি চালিয়ে এই গণহত্যা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করল হামাস। একইসঙ্গে এই ঘটনায় অবিলম্বে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানাল হামাস গোষ্ঠী।
গাজার গণকবর থেকে দফায় দফায় বহু মৃতদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারীরা। এপর্যন্ত গাজার খান ইউনিস শহরের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের ওই গণকবর থেকে প্রায় ৪০০ পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তারা নাসের হাসপাতালের গণকবর থেকে ৩৯২টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। গতকালই গাজার সরকারি সংবাদমাধ্যম কার্যালয়ের মহাপরিচালক ইসমাইল আল-থাওয়াবতা বলেন, ‘প্রায় ৩০ জন নিহতকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং বাকিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’
এদিকে, পচাগলা মৃতদেহগুলি শনাক্ত করতে বিশেষ ফরেনসিক টিম ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাঠাতে আন্তর্জাতিক মহলকে আহ্বান জানিয়েছে হামাস গোষ্ঠী। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, নাসের হাসপাতালে নির্যাতন ও নৃশংসতার শিকার হয়েছেন রোগী থেকে আহত শিশু ও নারীরা। ইসরাইলি সেনারা গুলি করে হত্যালীলা চালিয়েছে। এই জঘন্য অপরাধের তদন্তে অবিলম্বে একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিটি গঠন করা প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, খান ইউনিস শহর থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের পরই শনিবার (২০ এপ্রিল) এক গণকবরের সন্ধান মেলে। সেখান থেকে দফায় দফায় প্রায় চারশো মৃতদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী দল। বহু মৃতদেহ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা করেছে। তবে বেশিরভাগ মৃতদেহই পচে গিয়েছে। এদিকে, গত ছ’মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। ইহুদিবাদীদের হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৪,২০০ জন নিহত হয়েছে। ৭৭,২০০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর নিহত ও আহত সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক।