পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নিবার্চনের মুখে হায়দরাবাদের সাড়ে পাঁচ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ দিল কমিশন। তালিকার মধ্যে বেশিরভাগই মৃত অথবা স্থান পরিত্যাগ করে অন্যত্র চলে গেছে। বিধানসভা নির্বাচনে অনুপস্থিত, স্থানান্তরিত এবং মৃত ১,০৯,১১৭ ভোটারের নাম ছিল। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে কমিশন নাম বাদ দিল। ২টি লোকসভা আসন নিয়ে গঠিত হায়দরাবাদে ১৩ মে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন।
বুধবার গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (জিএইচএমসি) এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তালিকায় অনুযায়ী ৪৭,১৪১ মৃত ভোটার, ৪,৩৯,৮০১ স্থান পরিত্যাগ করেছে, ৫৪,২৫৯ নকল। মোট বাতিল ভোটারের সংখ্যা ৫,৪১,২০১। কমিশনের নির্দেশ মেনেই এই তালিকা তৈরি করে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী বুথগুলো নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে কাছাকাছি রাখা হয়েছে। আধিকারিক বলেন, হায়দরাবাদের জেলা নির্বাচন অফিসার, যিনি জিএইচএমসি কমিশনারও, তিনি ভোটার তালিকা সঠিক সহ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছেন।
এদিকে কমিশনের ভোটার বাতিলের পদক্ষেপে বিড়ম্বনায় পড়েছে তেলেঙ্গানার কংগ্রেস দল। ভুয়ো ঠিকানাযুক্ত ব্যক্তি সহ মৃত, নকল ভোটারদের সরিয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করে তেলেঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির বর্ষীয়ান সহ-সভাপতি এবং দলের নির্বাচন কমিশন সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান জি নিরঞ্জন নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
গত বছর জানুয়ারিতেই ভোটার সংশোধন তালিকা তৈরি করা হয়েছিল।
নামপালীতে ২১,৪০৭ ভোটারে নাম বাতিল করা হয়েছে(১৫,৯৬৩ স্থানান্তরিত ভোটার, ২৮৪৩ মৃত, ২৬০১ নকল ভোটার)।
এএসডি তালিকায় যে ভোটারের সংখ্যা দেখানো হয়েছে সেই অনুযায়ী অন্যান্য নির্বাচনী বিধানসভার আসল ভোটারের সংখ্যা বেশি। জুবিলি হিলসের নামপালীতে ২১, ২২২ নাম বাতিল (১৬,৬৫৮ ভোটার স্থানান্তরিত হয়েছে, ৩৭৫৪ নকল ভোটার, মৃত ৮১০)। কারওয়ানের ২০,৭২২ ভোটারের নাম বাতিল (১২,৫২৭ জন বাড়ি স্থানান্তরিত হয়েছে, ৪৮২৭ নকল, ৩৩৬৮ জন মারা গেছে)। চন্দ্রায়ণগুট্টা, ইয়াকুতপুরা এবং বাহাদুরপুরা অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রেও উল্লেখযোগ্য হারে ভোটারদের সংখ্যা বাতিল হয়েছে।