বিশেষ প্রতিবেদনঃ মালদ্বীপে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়েছে রবিবার। মালদ্বীপের পার্লামেন্ট পিপলস মজলিশের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা নির্ণয়ে আজ এদিন সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এ নির্বাচনকে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুইজ্জুর জন্যও বড় পরীক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, মুইজ্জু ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে আরও বেশি করে চিনের দিকে ঝুঁকে পড়ার মতো যথেষ্ট সমর্থন পার্লামেন্টে নিশ্চিত করতে পারবেন কি না, তা এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বোঝা যাবে।
এবার মালদ্বীপের ৯৩ আসনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৪ হাজার ৬৬৩। প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা ধরে ভোট গ্রহণ চলে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে চিনপন্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের প্রতিনিধি হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মুইজ্জু। দুর্নীতির অভিযোগে ইয়ামিনের ১১ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। তবে গত সপ্তাহে আদালত এ সাজা বাতিল করলে তিনি মুক্তি পান। চলতি মাসে যখন পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য পুরোদমে প্রচারণা চলছিল, তখন মালদ্বীপে অবকাঠামো নির্মাণে চিনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির সঙ্গে বড় ধরনের চুক্তি করেছেন মুইজ্জু।
তাঁর প্রশাসন মালদ্বীপে থাকা ৮৯ জন ভারতীয় সেনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। মালদ্বীপের বিশাল সমুদ্রসীমায় টহল দিতে ভারতের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে দেওয়া উড়োজাহাজ পরিচালনা করেন এসব সেনা। মালদ্বীপের বর্তমান পার্লামেন্টে মুইজ্জুর পূর্বসূরি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহর ভারতপন্থী দল এমডিপির (মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি) আধিপত্য আছে।
ভারতীয় সেনাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে মুইজ্জু ক্ষমতায় এসেছেন এবং তিনি এ নিয়ে কাজ করছেন। ক্ষমতায় আসার পর থেকে পার্লামেন্ট তাঁকে সহযোগিতা করছে না। মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিরোধী পক্ষের আইনপ্রণেতারা তাঁর মনোনীত তিন ব্যক্তিকে মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে দেননি। মুইজ্জু প্রস্তাবিত কয়েকটি ব্যয় বিল পাসেও অস্বীকৃতি জানান তাঁরা।
এবার নির্বাচনে ৯৩ আসনে ৩৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই গণনা শুরু হবে।