পুবের কলম প্রতিবেদক: একদিনে বাংলায় দুই সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার দুই দিনাজপুরে জোড়া সভা করেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে দুপুর আড়াইটে নাগাদ প্রথম সভাটি করেন বালুরঘাট রেল স্টেশন সংলগ্ন মাঠে।
আর দ্বিতীয় সভাটি করেন বিকেলে রায়গঞ্জের গোয়ালপাড়ায়। বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের সমর্থনে এই জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। দুই সভা থেকেই তৃণমূলকে নিশানা করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, ১৭ এপ্রিল রামনবমীর দিন হচ্ছে বিজেপির কাছে হিংসা করার দিন।
এ দিনের জোড়া সভা থেকে সেই ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল আসলে রামনবমীর মতো মহোৎসবকে আটকানোর ষড়যন্ত্র করছে। রামনবমীর অনুমতি দেয় না। তাই কোর্ট থেকে অনুমতি আদায় করে আনতে দেয়। তৃণমূল শুধু রামনবমী, দুর্গাপুজোর মিছিলে পাথর ছোড়ার অনুমতি দেয়। অর্থাৎ রামনবমীকে সামনে রেখে বিজেপি যে ধর্মীয় মেরুকরণের প্রচারকে তুঙ্গে নিয়ে যেতে চায়, তাও এ দিনের সভা থেকে স্পষ্ট হয়ে গেল।
বালুরঘাটের প্রচার সভা থেকে মোদি বলেন, অনেকে ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু সত্যের জয় হয়েছে। রামনবমী আটকাতে অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। রামনবমীর মিছিল নিয়ে কোর্ট থেকে অনুমতি মিলেছে। বাংলায় উন্নয়নেরই জয় হবে। বাংলা বলছে ৪ জুন ৪০০ পার, আবার মোদি সরকার।
বালুরঘাটের সভা থেকে বঙ্গে উন্নয়নের বার্তা দিয়ে মোদি বলেন, আগামী ৫ বছরের গ্যারান্টি দিয়েছি। গরিবদের জন্য ৩ কোটি আরও নতুন ঘর তৈরি হবে। কম দামে সোলার প্যানেল দিয়ে বিদ্যুতের বিল শূন্য করে দেব। আগামী ৫ বছর বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে। বাংলার গরিবরা মোদির কাজের সুফল পেলে তৃণমূলের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে।
দলিত আদিবাসী মহিলাদের বন্ধক রাখতে চায় তৃণমূল। বিজেপিতে এসেছিল বলে আদিবাসী মহিলাদের নাকখত দিতে বাধ্য করেছিল তৃণমূল। বাম আর তৃণমূলের সরকার বালুরঘাটের জন্য কিছুই করেনি। আপনার স্বপ্ন, আমার সংকল্প। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আপনাদের স্বপ্ন পূরণ করব।