কিবরিয়া আনসারী: মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড়বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত হয়েছে জলপাইগুড়ি। অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জলপাইগুড়ির ঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে রবিবার রাতেই সেখানে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেন আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে। হাসপাতাল পরিদর্শনেও যান তিনি। কালবৈশাখী ঝড়ে প্রাণ হারানো প্রত্যেকের বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনাও জ্ঞাপন করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সঠিক সময়ে প্রশাসন পদক্ষেপ করায় আজ বহু মানুষের প্রাণ বেঁচে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের এই নিরলস কর্মকে কোনো বিশেষণ দিয়ে বিশেষায়িত করা যাবে না। বহু সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে কিন্তু আমি আশাবাদী ধীরে ধীরে সকলের জীবন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।’
আহত ও নিহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সামাজিক মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “আজ জলপাইগুড়ির কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করলাম এবং আহত ব্যক্তিদের দেখতে উপস্থিত ছিলাম জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পাশাপাশি ত্রাণ শিবিরে গিয়েও দেখা করেছি সকলের সঙ্গে। ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বললাম এবং তাঁদের আশ্বস্ত করলাম। হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সকলের শারীরিক অবস্থার পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করলাম। এই হৃদয়বিদারক, মর্মন্তুদ ঘটনায় যেভাবে প্রশাসন-সহ ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করেছেন, তাতে আমি তাঁদের সকলকে কুর্ণিশ এবং স্যালুট জানাই।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, “প্রশাসন আক্রান্ত প্রত্যেকটি মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে, তাঁদের পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনারা সকলে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন, এই প্রার্থনা আমার।” উল্লেখ্য, রবিবার আচমকাই প্রচন্ড ঝড়বৃষ্টির জেরে জলপাইগুড়ি-ময়নাগুড়ির কিছু এলাকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বহু বাড়িঘর, ইলেকট্রিক পোল, গাছপালা ভেঙে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনহানিও হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ, দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর প্রয়োজনীয় ত্রাণের ব্যবস্থা করে। ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যায় প্রশাসন।