দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন:- “আমি কোনো জোর করছি না। দু’দিনের খারাপ লাগা তোমার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করবে।” এরকম মেসেজ করে ছাত্রীকে ঈঙ্গিতে কু প্রস্তাব ছাড়াও নিজস্ব বিভাগের তিন ছাত্রীকে ফেল করানোর হুমকি দিতেন বিশ্বভারতীর ভাষা বিভাগের অতিথি অধ্যাপক আবদুল্লা মোল্লা। অভিযোগ, হোয়াটস অ্যাপে উত্তর না দিলে অধ্যাপক রেগে যেতেন। তিনি লিখেছেন, পড়াশোনা ছাড়া কিছু করতে পারবে না। তোমরা অনেস্টলি, সেমি অনেস্টলি এবং ডিসঅনেস্টলি তিন পন্থায় পাশ করতে পারবে।
পাশাপাশি, অভিযোগ ওঠে, অভিযুক্ত অধ্যাপক অভিযোগকারিনী ছাত্রীর পিঠে এবং হাতে উপর বাজে ভাবে স্পর্শ করতেন। বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনায় সমালোচনায় মুখর অধ্যাপক সংগঠন থেকে আশ্রমিক সবাই। সবাই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত চেয়েছেন।
বিশ্বভারতীর বর্তমান দায়িত্ব প্রাপ্ত জন সংযোগ আধিকারিক অভিজিৎ থাণ্ডার বলেন, তিনি সদ্য দায়িত্ব পেয়েছেন। বিষয়টি এখনও তার কাছে পৌঁছায় নি। অভিযোগ, ছাত্রীদের কাছে ডাক আসতো ‘নাইট স্টে’ করার!
এমনই মারাত্বক অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিশ্বভারতীতে। অভিযুক্ত অধ্যাপক আবদুল্লা মোল্লা বিশ্বভারতীর ভাষভবনের আরবি,পার্সি,উর্দু, ইসলামিক স্টাডি বিভাগের অতিথি অধ্যাপক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তিন ছাত্রী। তাঁদের অভিযোগ, চলতি বছরের একুশে এবং বাইশে জানুয়ারি তাঁরা এই কুপ্রস্তাব পাঠিয়ে সেমেস্টার পাশ করানো বা ফেল করানোর হুমকি দেওয়া হয়। তবে এতদিন পর এই অভিযোগের কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন, গত ২৮ মার্চ ছাত্রীরা
এই মর্মে বিশ্বভারতীর ইন্টারন্যাল কমপ্লেন্ট কমিটির কাছে অভিযোগ জানান। কিন্তু কোনও সদুত্তর না পেয়ে শনিবার তারা দ্বারস্থ হয়েছেন শান্তিনিকেতন মহিলা থানার। করেছেন লিখিত অভিযোগও। বিশ্বভারতীর ভাষা ভবনের অন্তর্গত আবরি বিভাগ। এই বিভাগের অতিথি অধ্যাপক হলেন আব্দুল্লা মোল্লা। তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে।
যদিও, অভিযুক্ত অধ্যাপক আব্দুল্লা মোল্লা বলেন, “আমি এই ধরনের কোন মেসেজ করিনি৷ জানি না কেন ছাত্রীরা এমন বলছেন৷ এত বছর আমি এখানে আছি, আগে কখনও এমন অভিযোগ ওঠেনি৷ আমি কোন ভুল মেসেজ করিনি৷”
এব্যাপারে বিশ্বভারতীর বিভাগীয় প্রধান ওয়াসিফ আহমেদকে ফোন করলে তিনি কোনো উত্তর দেন নি।