কৌশিক সালুই বীরভূম :- তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতির ভাইপো খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। পাথর ব্যবসায়ী গ্রেফতারের পর এবার তার ম্যানেজারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনায় ওই পাথর ব্যবসায়ীর শ্যালক পলাতক। এক সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার রাত্রে মহম্মদ বাজারের পাঁচামি পাথর শিল্পাঞ্চলের পাথর এলাকার খাদান থেকে সালাউদ্দিন খানের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশি তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তাকে ডেকে নিয়ে এসে দু রাউন্ড গুলি করে মেরে স্কুটি সহ পাথর খাদানের নিচে ফেলে দেওয়া হয়।
পাথর ব্যবসায়ী তারক টুডুর ম্যানেজার অমর মুর্মু সালাউদ্দিনকে কোমরে এবং মাথায় গুলি করে পুলিশি তদন্তে এমনই উঠে এসেছে। এই ঘটনায় তারকের শ্যালক বিজয় টুডুর নাম জড়িয়ে গিয়েছে। যদিও তিনি ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তার খোঁজে পুলিশের তল্লাশি। অমর মুখে শুক্রবার সিউড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন।
এদিকে সালাউদ্দিনের মৃতদেহ সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পর সাঁইথিয়ার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। প্রসঙ্গত গত শুক্রবার দুপুরে সিউড়ির বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়ে যান সালাউদ্দিন খান। এই সালাউদ্দিন সাঁইথিয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সাবের আলির খানের ভাইপো। সালাউদ্দিনের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় তারকের কাছে ব্যবসায়িক লেনদেনের ব্যাপারে যাওয়ার কথা বলেছিল।
নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে তারকের নাম সিউড়ি থানার পুলিশকে বলা হয়। পুলিশ প্রথমে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ জন্য আটক করে এবং পুলিশি জেরায় সে ভেঙে পড়ে। যদিও গ্রেফতারের পর আদালতে তোলা হলে তারক জানান তাকে ফাঁসানোর জন্য কিছু ব্যবসায়ীর চক্রান্ত। এদিকে পরপর দুটি খুনের ঘটনায় তারকের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় যথেষ্ট বিস্মিত পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকার মানুষজন।
হরিণসিঙ্গার বাসিন্দা তারকের ব্যবসায়িক উত্থান রকেটের গতিতে। শুধু পাথরের কারবার নয় পেট্রোল পাম্প, নার্সিংহোম প্রভৃতি ব্যাবসাতেও নাম লিখিয়েছিল তারক বলে দাবি ঘনিষ্ঠজনদের। এছাড়া স্থানীয়দের দাবি আদিবাসী সমাজের কাছে মাসিহা হয়ে উঠেছিল সে। পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকার বহু আদিবাসী পরিবার তার মাধ্যমে রুজি রোজগার করত বলে জানা গিয়েছে।