মোল্লা জসিমউদ্দিন: মঙ্গলবার পিএসসির সব শূন্যপদ অবিলম্বে পূরণ করতে হবে বলে রাজ্যকে নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। এদিন তিনি বলেন, “গোটা রাজ্যে বহু প্রার্থী অপেক্ষা করে আছেন। এর আগে চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছিল, পরে আদালতের নির্দেশে চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়েছে।”ওই প্রার্থীরা কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছেন।
এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায় , -‘ কমিশনের উপরে যাতে সাধারণ মানুষের আস্থা থাকে, রাজ্য সরকারকে তার ব্যবস্থা করতে হবে’। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, -‘ চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে স্বচ্ছ হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে কমিশনের চেয়ারম্যান এবং অন্য সদস্যদের’।গত কয়েক মাস ধরে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদ শূন্য ছিল। সাত সদস্যের মধ্যে সদস্য রয়েছেন মাত্র দুজন। তার জন্য কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়াও ব্যাহত হচ্ছিল। তা নিয়ে আদালতে মামলা হয়। হাইকোর্ট অবিলম্বে চেয়ারম্যান পদ পূরণ করার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকারকে।
নতুবা তারাই চেয়ারম্যান পদে লোক বসাবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। আদালতের ধমক খেয়েই সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন পদে বসায় রাজ্য সরকার।পাবলিক সার্ভিস কমিশন নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ,-‘ মাধ্যমে সরকারি চাকরি প্রায় হচ্ছেই না’।
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘চেয়ারম্যান ও বাকি সদস্যদের উদ্দেশ্য হবে এমন কাজ করা, যাতে নিয়োগ স্বচ্ছ হয়। যেন সাধারণ মানুষের আস্থা থাকে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে।’ এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। সবাই লাইন দিয়ে অপেক্ষা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সার্চ কমিটি গঠন করতে হবে।আগামী ৯ মে এই নিয়োগ সম্পর্কে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে। পিএসসি-র চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগের জন্য মামলা হয়েছিল। এর আগের শুনানির দিন চেয়ারম্যানের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এদিন রাজ্য জানায়, -‘চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়েছে’।
অন্যদিক, মামলাকারীর আইনজীবী শামিম আহমেদ জানান, -‘নিয়োগ করার আগে বিজ্ঞাপন দিতে হবে। স্বচ্ছতা আনতে হবে’।কেন সন্দেহ করা হচ্ছে? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। মামলাকারী আইনজীবীর যুক্তি, -‘ এর আগেও এমন হয়েছে। নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে’। এর উত্তরে এজি কিশোর দত্ত বলেন,-‘ আইন অনুযায়ী যাতে কাজ হয়, সেটাই করা হবে’।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘চেয়ারম্যান ও বাকি সদস্যদের উদ্দেশ্য হবে এমন কাজ করা, যাতে নিয়োগ স্বচ্ছ হয়। যেন সাধারণ মানুষের আস্থা থাকে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে।’ এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। সবাই লাইন দিয়ে অপেক্ষা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সার্চ কমিটি গঠন করতে হবে।আগামী ৯ মে এই নিয়োগ সম্পর্কে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে। ওইদিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।