পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সিএএ নিয়ে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। তবে সিএএ-তে স্থগিতাদেশ চেয়ে শীর্ষ আদালতে যে মামলাগুলি হয়েছিল, সেগুলির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের কাছে তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাব তলব করা হয়েছে। সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৮ এপ্রিল। ৯ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন হলফনামার আকারে নিজেদের বক্তব্য জানাবে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, ১১ মার্চ দেশজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করেছিল কেন্দ্র সরকার। ভোটের আগে কেন্দ্রের এই নির্দেশিকায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। বাংলা সহ একাধিক রাজ্য সিএএ-বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। সোচ্চার হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টে মামলা যায়।
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাগুলির শুনানি ছিল। তবে সেই মামলায় নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ নিয়ে স্থগিতাদেশ দিল না দেশের শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার মামলাগুলির শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। সরকারপক্ষের কৌঁসুলি হিসাবে মঙ্গলবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা। সিএএ-র সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বলবৎ হওয়া বিধিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে যে ২০টি মামলা হয়, তার প্রেক্ষিতে জবাব দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে চার সপ্তাহ সময় চান তিনি। সলিসিটর জেনারেল আদালতে বলেন, ‘সিএএ-তে কারও নাগরিকত্ব যাবে না’।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয়বার দিল্লির মসনদে বসার পরেই ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাস করে মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। ওই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত। কিন্তু সিএএ-তে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও সেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এই ‘বৈষম্য’ কেন, তা নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। কেন্দ্রের বিরোধিতায় সরব হয় বিরোধীরা।