পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: হাথরসে দলিত তরুণীর গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান, ছাত্র নেতা মাসুদ আহমদ সহ আরও ৪ জন । সকলের বিরুদ্ধে ইউপিএ-ধারায় মামলা দায়ের হয়। ইলাহাবাদ হাইকোর্টে চলে মামলা। ঘটনার ৪১ মাস পর জামিন পেলেন ছাত্রনেতা মাসুদ আহমেদ।
২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর । ১৯ বছরের এক দলিত তরুণীর ওপর ঘটে যায় নারকীয় যৌন অত্যাচার । উচ্চবর্ণের কয়েকজন যুবকের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন তিনি। মুহূর্তের মধ্যেই অগ্নিগর্ভ হয়ে যায় হাথরাস। প্রতিবাদের ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ভিড় জমান রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সাংবাদিক, পুলিশ সকলে। মোতায়েন হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১৯ বছরের ওই তরুণীর ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হতেই তদন্তে নামে পুলিশ। এদিকে, চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তরুণীর। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কাউকে না জানিয়ে রাতের অন্ধকারে ‘অন্যায়ভাবে’ সৎকার করে দেওয়া হয় তাঁর দেহ। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন মাসুদ, কাপ্পান সহ আরও অনেকে।
ইলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি আতাউ রহমান মাসুদি এবং বিচারপতি অজয় কুমার শ্রীবাস্তব- রায় দিতে গিয়ে এদিন জানান, এই মামলায় ইতিমধ্যেই সিদ্দিক কাপ্পান’কে জামিন দিয়েছে শীর্ষ আদালত। অভিযুক্ত অন্যান্যদেরও জামিন দেওয়া হয়েছে। মাসুদ ইতিমধ্যেই ৪১ মাস জেলে কাটিয়েছে। তাঁকে জেলে আটকে রাখার আর যুক্তিসঙ্গত কোনও কারণ নেই। তাই এদিন কারোর কথা না শুনেই মাসুদ’কে জামিন দেয় আদালত।
সিদ্দিক কাপ্পান এবং তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া সকলের বিররুদ্ধে নিষিদ্ধ সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া এবং তার ছাত্র শাখা ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া -র সদস্য হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। যদিও পুলিশের এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছিলেন তাঁরা। এদিন মাসুদের আইনজীবী জানান, মাসুদের বিরুদ্ধে অতীতে এই ধরণের অপরাধমূলক কোনও অভিযোগ নেই। এদিন রাজ্য সরকারের আইনজীবী মাসুদের জামিন আটকানোর চেষ্টা করলে বিচারপতিদের ভর্ৎসনার স্বীকার হন তাঁরা। তাঁদের উদ্দেশ্যে বিচারপতিরা জানান, যেখানে সুপ্রিম কোর্ট বকিদের জামিন দিয়েছে, সেখানে মাসুদের এতদিন জেলে থাকার কোনও যুক্তিযুক্ত কারণ নেই।