পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের ৮ জানুয়ারি রায়ে বিলকিস বানু মামলায় হত্যা ও ধর্ষণের আসামিদের জেলে ঢুকতে হয়েছে, গুজরাত সরকারের সাজা মকুবের নির্দেশে ছাড়া পেয়েছিল ১১ জন অভিযুক্ত। ধর্ষণ ও খুনের আসামিদের এভাবে ছেড়ে দেওয়ায় দেশব্যাপী সমালাচনা ও নিন্দার ঝড় ওঠে।
সুপ্রিম কোর্ট এই ধরনের ভয়ানক অপরাধীদের জেলের বাইরে থাকা সমীচিন মনে করে না। পুনরায় জেলে যেতে হয় সুপ্রিম কোর্ট গুজরাত সরকারের সাজা মকুব নির্দেশ বাতিল করার ফলে। কিন্তু সামনে লোকসভা নির্বাচন। বিলকিস মামলার এক আসামি সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাল সুপ্রিম কোর্টে।
গুজরাত সরকারের সাজা মকুবের নির্দেশ বহাল রাখার আবেদন জানায় অভিযুক্ত রমেশ। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে এক আসামী প্যারালে মুক্তির আবেদন জানায় পরিবারের সদস্যদের কারো বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য। এর আগেও যাবজ্জীবন জেলের সাজা পেলেও বেশির ভাগ সময়ই আসামীরা প্যারোল বাইরে থেকেছে। গুজরাতের আদালত তাদের প্যারোলে জেলের বাইরে বের হয়ে আসার অনুমোদন দেয়। কিন্তু এ বছর জানুয়ারিতে সবাইকে এক সময়ে চাপের মুখে জেলে ঢুকতে হয় কিন্তু এখন নির্বাচনের সময়ে রায় পুনর্বিচারের আবেদন জানিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় ফের বাইরে বের হয়ে আসতে চাইছে গণধর্ষণে অভিযুক্তরা।
২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার সময় প্রাণের ভয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিলকিস বানুর পরিবারের ৮ সদস্যকে হত্যা করা হয়। বিলকিসের বাচ্চাকে তার মায়ের সামনে পাথরে আছড়ে মেরে ফেলা হয়। তিন মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় ও পরে হত্যা করা হয়।
সন্তানসম্ভবা বিলকিস বানুকে ধর্ষণের পর মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায় ধর্ষক ও খুনিরা। বহু আইনি লড়াইয়ের পর ১১ জনের সাজা ঘোষণা হলেও গুজরাত সরকার তাদের ‘সাজা মকুবের’ নিয়মে ছেড়ে দিলে চরম মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাবের অভিযোগ ওঠে। পরে সুপ্রিম কোর্ট সরকারের নির্দেশ বাতিল করলে আতঙ্ক মুক্ত হয় বিলকিস বানু ও তার পরিবার। তবে আসামীদের ফের জেলের বাইরে আনার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।