পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ‘ইসলামি রাষ্ট্র’ সউদি আরব অইসলামি নানা নিয়ম কানুন চালু করে ভিন্ন ভিন্ন কারণে মুসলিম বিশ্ব ও পশ্চিমা দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছে। একই কাতারে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন প্রভৃতি মুসলিম দেশ। আর সম্প্রতি তাতে যোগ দিয়েছে ইসলামের নামে যে রাষ্ট্রের সৃষ্টি সেই ইসলামিক রিপাবলিক অফ পাকিস্তান। তারা নির্দেশ দিয়েছে, পাকিস্তানের জাতীয় বিমান সংস্থা পিআইএ-র পাইলটরা রোযা পালন করতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, এয়ারহোস্টেসদেরও রোযা না রাখার একই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। অন্য দেশ যেমন ভারত বা ব্রিটেনেও কিন্তু এয়ার লাইন্সগুলির উপর এই ধরনের কোনও নির্দেশ নেই। এ ব্যাপারে পথ দেখাল পাকিস্তান। উল্লেখ্য, ইসলামে রোযা রাখার জন্য কোনও কর্তব্য-কর্ম পরিত্যাগ করার নির্দেশ নেই। ইসলামের বড় বড় বিজয়গুলি সাধিত হয়েছে রমযান মাসে।
পবিত্র রমযান এসেছে মুসলিমদের দুয়ারে। বিশ্বের মুসলিমরা রোযা পালনের মধ্য দিয়ে ত্যাগ-তিতিক্ষা, সংযমের পরিচয় দিয়ে থাকে। এক আলাদা আধ্যাত্মিক পরিবেশ তৈরি হয় এই সময়। মুসলিমরা আল্লাহর হুকুম পালনে বদ্ধপরিকর হয়ে রোযা রাখেন। কিন্তু পাকিস্তানের একটি ঘটনা আশ্চর্য করেছে বিশ্বকে। তথা ফরজ ইবাদাত পালন করার জন্য ইসলামের মৌলিক ইবাদতের মধ্যে অন্যতম এবং এই কারণে সারা বিশ্বের মুসলিমরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে রোজা পালন করে থাকেন।
পাক সংবাদপত্র এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) পাইলট এবং কেবিন ক্রু সদস্যদের রমযান মাসজুড়ে ভ্রমণ এবং ফ্লাইট চলাকালীন রোযা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, রোযা না রাখার নির্দেশিকাটি পিআইএর ফ্লাইট সুরক্ষা বিভাগের ম্যানেজারের কাছ থেকে এসেছে। তিনি এয়ালাইন্সের সকল কেবিন ক্রু সদস্যের কাছে একটি সার্কুলারও পাঠিয়েছেন। সেখানে ফ্লাইট চলাকালীন রোজয রাখার নির্দেশিকাগুলোর রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
সার্কুলারে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ফ্লাইটে ভ্রমণের সময় রোযা রাখা সম্ভব। তবে এটি ঝুঁকির কারণ হতে পারে। কারণ, এটি কর্পোরেট নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা এবং এয়ারক্রু মেডিকেল সেন্টার প্রদত্ত নিরাপত্তার পরিধি কমিয়ে দিতে পারে। এতে আরও বলা হয়েছে, রোযা সম্ভাব্যভাবে সতর্কতা হ্রাস করতে পারে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে দুর্বল করতে পারে। আর এটি জরুরি পরিস্থিতিতে গুরুতর পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।