পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ১৪ মার্চ বিশ্ব কিডনি দিবস। সেই দিবসে ফের চিকিৎসা বিজ্ঞানে নজির গড়লেন চিকিৎসকরা। হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে এক রোগীর কিডনি থেকে ৪১৮টি পাথর বের করেছেন চিকিৎসকরা। ওই রোগীর কিডনি মাত্র ২৭ শতাংশ কাজ করছিল বলে জানা গেছে। হায়দরাবাদের ইউরোলজিস্ট বিভাগের একদল বিশেষজ্ঞ জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রোগীর প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছেন। অপারেশনটি এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ নেফ্রোলজি অ্যান্ড ইউরোলজিতে করা হয়। চিকিৎসক দলের মধ্যে ছিলেন ডা. পূর্ণ চন্দ্র রেড্ডি, ডা. গোপাল আর তক, ডা. দীনেশ এম। পারকিউটেনিয়াস নেফ্রোলিথোটমি পদ্ধতি ব্যবহার করে অস্ত্রোপচারটি সম্ভব করে তোলেন তাঁরা। প্রায় দুঘণ্টা ধরে চলা অস্ত্রোপচারে চিকিৎসক দল মূত্রনালীর মধ্যে দিয়ে পাথরগুলির অবস্থান লক্ষ্য করে সেগুলি বের করে আনতে সক্ষম হন। প্রসঙ্গত, কিডনিতে স্টোন বা পাথর একটি জটিল সমস্যা।
সাধারণ এই উপসর্গ শরীরে দেখা দিলে রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ে, পেটে ব্যথা শুরু হয়। প্রস্রাবের সময় রোগী জ্বালা অনুভব করতে পারে। সাধারণত তলপেটে তীব্র ব্যথা, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত, বমি বমি ভাব, বমি করা, ঠান্ডা লাগা, জ্বর প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দেয়। প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হয়ে যায় ঘোলাটে দেখায়। এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে, এক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে পারকিউটেনিয়াস নেফ্রোলিথোটমি (পিসিএনএল)পদ্ধতির সাহায্য নেন। এই পদ্ধতিতে বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে ছোট ছোট ছেদ করে লেজার প্রোব ও ক্ষুদ্র ক্যামেরা ব্যবহার করে রোগীর শরীরের অভ্যন্তরীণভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই পদ্ধতির সুবিধা হল বড়সড় অস্ত্রোপচারের ঝুঁকির মধ্য দিয়ে রোগীকে যেতে হয় না, শারীরিক কষ্ট ও মানসিক দুশ্চিন্তাও কম থাকে। ফলে তাড়াতাড়ি রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে যেতে পারেন।