মোল্লা জসিমউদ্দিন: সন্দেশখালি ঘটনার পরিপেক্ষিতে দুটি মামলায় সিবিআই তদন্তই বহাল রাখলো দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার এই নির্দেশে কার্যত সুপ্রিম ধাক্কা খেল রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টেক প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের সিবিআই তদন্ত নির্দেশ খারিজ করার আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের রাজ্য পুলিশ – প্রশাসন কে নিয়ে বক্তব্যকে রদ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার জানায়, ‘ইডি সন্দেশখালি যাওয়ার আগে রাজ্যকে জানায়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গিয়েছিল। তারপর ঘটনা ঘটেছে। এরপরও রাজ্য পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ২টি মামলা করেছে। কলকাতা হাইকোর্ট তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল, তাই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা যায়নি। এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমের চাপ বাড়তে থাকে। রাজ্য পুলিশের ব্যর্থতা বলে অভিযোগ করা হয়। যা ঠিক নয়। হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়’। রাজ্য এর তরফে আরও জানানো হয়, ‘শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মোট ৪২টি এফআইআর হয়েছে। শাহজাহান-সহ ৭জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্য সরকারই আদালতে গিয়ে ব্যাখ্যা চায়’।
রাজ্যের দাবি, “দুর্ভাগ্যজনক ভাবে রাজ্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছে সিবিআই।” রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে আপত্তি তোলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ভি। সিবিআই-এর তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটার জেনারেল এসভি রাজু বলেন, ‘রেশন দুর্নীতির তদন্তে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। তারপর মারাত্মক ঘটনা ঘটে’।
সিবিআই-এর তরফে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়, ‘শাহজাহানের বিরুদ্ধে ৪২ মামলা সত্ত্বেও গ্রেফতার করা হয়নি। শেখ শাহজাহান প্রভাবশালী নেতা। স্থানীয় পুলিশের মদত ছাড়া শাহজাহানের লুকিয়ে থাকা অসম্ভব ছিল। এখন আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করলেও গুরুত্বপূর্ণ নথি দেওয়া হচ্ছে না’। তারপরই সুপ্রিম কোর্ট এর ডিভিশন বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কে বহাল রাখলো।