পুবের কলম প্রতিবদেক: বিজেপি নেতাদের মুখে একাধিকবার সংবিধান পরিবর্তনের কথা শোনা গিয়েছে। যা নিয়ে দেশজুড়ে বির্তকের জন্ম দিয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের একবার সংবিধান পরিবর্তনের বির্তক উসকে দিলেন বিজেপি সাংসদ অনন্তকুমার হেগড়ে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি দুই-তৃতীয়াংশ আসন পেলে সংবিধান পরিবর্তনের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘বিজেপি সংবিধান পরিবর্তন করে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি বাদ দেবে৷ সংবিধান সংশোধনের জন্য লোকসভায় গেরুয়া শিবিরের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে হবে আপনাদের৷’ তাঁর অভিযোগ, ‘কংগ্রেস সংবিধানকে বিকৃত করেছে। হিন্দু সমাজকে দমন করার লক্ষ্যে তাঁরা অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলি সংবিধানে যুক্ত করেছে।’
এরপরই কর্নাটকের বিজেপি সাংসদ হেগড়ে দাবি করেন, ‘যদি লোকসভায় কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়। তাহলে মোদি সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এই কাজ সম্পূর্ণ করবে। এজন্য আমাদের প্রত্যেকটি রাজ্যে জয়ের প্রয়োজন। তবেই আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেই সংবিধান পরিবর্তন করব।’ সম্প্রতি কর্নাটকে অনুষ্ঠিত রাজ্যসভা নির্বাচনে তিনটি আসন জিতেছে কংগ্রেস, মাত্র একটি আসন পেয়েছে বিজেপি। এপ্রসঙ্গ টেনে সাংসদ বলেন, ‘কংগ্রেসের সংখ্যা বাড়লে বিজেপি সরকার সংবিধান সংশোধনী করতে পারবে না। এজন্য মোদি জি বলেছেন ‘আব কি বার-৪০০ পার’। লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আমাদের চারশো আসন জিততে হবে।’
এদিকে কংগ্রেসের অভিযোগ, আরএসএস-বিজেপির গোপন এজেন্ডা সংবিধান পরিবর্তন। তাঁরা সংবিধানকে ধ্বংস করে নতুন সংবিধান লেখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিজেপি সাংসদ সত্যিটাই বলে ফেলেছেন। সংবিধান পরিবর্তনের জন্য বিজেপির ৪০০টি আসন লক্ষ্যে এগোচ্ছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বিজেপি সাংসদের কথাটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ‘সংঘ পরিবার’-এর গোপন উদ্দেশ্য প্রকাশ্যে এসেছে।’ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে কটাক্ষ করে বলেন, বিজেপি সাংসদের বক্তব্য আরও একবার মোদির একনায়কতন্ত্রকে প্রকাশ্যে এনেছে।’ প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে সংবিধান বদলের দাবি তুলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অনন্তকুমার হেগড়ে।