পুবের কলম প্রতিবেদকঃ কলকাতায় ব্রিগেডের জণগর্জন হবে, আর সেই গর্জনে দিল্লি কাঁপবে। আর এই গর্জণের সুত্রপাত হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে দিল্লিতে। রবিবার ব্রিগেডে জনগর্জন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নায়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম । এদিন তৃনমূল কংগ্রেদের জনগর্জন সভায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা সকলে মিলেই দিল্লি গিয়েছিলাম। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে ধর্নায় বসেছিলেন। তারপর দিল্লি থেকে ফিরে এসে কলকাতায় রাজভবনের সামনে বসেছিলেন। কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া পাওনা আদায়ের দাবিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রের পাওনা টাকা আদায়ের দাবি জানিয়ে অবস্থানে বসেছিলেন। রবিবার ব্রিগেড সভা মঞ্চেই ফিরহাদ হাকিম বলেন, রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি দুর্বল থাকা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০ দিনের কাজের টাকা রাজ্যের মানুষকে দিয়েছেন। অন্যদিকে প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলায় এসে শুধু কুৎসা করছেন, সন্দেশখালি নিয়ে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন। সম্প্রতি সন্দেশখালির ঘটনায় দলের যে কয়েকজন কর্মীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানান ফিরহাদ হাকিম। হাইকোর্ট গ্রেফতারি নিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করা মাত্র শাহজাহান গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বিজেপি আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্দেশখালি নিয়ে মিথ্যে কথা বলছেন, কুৎসা রটাচ্ছেন। ফিরহাদ হাকিম এদিন আরও বলেন, কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না তৃণমূল কংগ্রেস। ব্রিগেড জনসভা থেকেই ফিরহাদ হাকিম বিজেপি তথা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য যুব সমাজকে আহ্বান জানান। কেন্দ্রীয় এজেন্সি তথা সিবিআই ও ইডি-কে নিশানা করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমার বাড়িতে একাধিকবার সিবিআই তল্লাশি করেছে। আমাকে জেলে পুরেছে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছিল তা মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে বলেও জানান ফিরহাদ হাকিম।