পুবের কলম প্রতিবেদক: ‘জনগর্জন’ সভায় জনসুনামির অপেক্ষা এখন। আর, এই অবস্থায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ব্যবস্থা। স্বাস্থ্য শিবির থেকে শুরু করে এই সব ব্যবস্থার মধ্যে যেমন রয়েছে সরকারি হাসপাতালকে সজাগ রাখার বিষয়টি, তেমনই প্রস্তুত কয়েক’শো চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীও।
‘বাংলার প্রতি লাগাতার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা- ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, রাস্তা ও একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের টাকা অন্যায়ভাবে বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং বহিরাগত অত্যাচারীদের বিসর্জনের অঙ্গীকার নিতে’, ১০ মার্চ ‘ব্রিগেড চলো’-র কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর, এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে ১০ মার্চ কলকাতায় ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড-এর এই ‘জনগর্জন’ সভায় জনসুনামির অপেক্ষা চলছে এখন।
‘জনগর্জন’-এ জনসুনামির লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতায় চলে এসেছেন দলের অসংখ্য কর্মী, সমর্থক। আশা করা হচ্ছে, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে ১০ লাখ কর্মী, সমর্থকের উপস্থিতি ঘটবে ব্রিগেড ময়দানের এই ‘জনগর্জন’ সভায়। এ দিকে, ‘জনগর্জন’-এ শামিল হতে দূর-দূরান্ত থেকে যে সব দলীয় কর্মী, সমর্থক আসছেন, তাঁদের জন্য কলকাতায় থাকার জায়গা এবং খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
শুধুমাত্র তাই নয়। একই সঙ্গে আপৎকালীন চিকিৎসার জন্যেও নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ব্যবস্থা। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সেক্রেটারি ডাক্তার শান্তনু সেন বলেন, ‘ইকোপার্ক, গীতাঞ্জলি, নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম, উত্তীর্ণ, এই চারটি জায়গায় ক্যাম্প থাকছে, ওষুধ থাকছে।’ শিয়ালদহ, হাওড়া, কলকাতা রেলওয়ে স্টেশনেও থাকছে মেডিক্যাল ক্যাম্প, ওষুধ। ১০ মার্চ সকাল থেকে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে থাকছে এই ব্যবস্থা। এমনই জানানোর পাশাপাশি ডাক্তার শান্তনু সেন বলেন, ‘এই ক্যাম্পগুলিতে সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫০ থেকে ৪০০ জন চিকিৎসক থাকছেন। সব মিলিয়ে ৩৫০ নার্স, প্যারামেডিক্যাল স্টাফ থাকছেন।’
‘জনগর্জন’ সভায় আগত দলের কোনও কর্মী, সমর্থক অসুস্থ হয়ে পড়লে, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আর কোন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? দলের সদ্য প্রাক্তন সাংসদ ডাক্তার শান্তনু সেনের কথায়, ‘এসএসকেএম হাসপাতাল, এনআরএস, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজকে বলে রাখা হয়েছে। ব্লাড, অ্যাম্বুল্যান্স সহ সব কিছুর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’
_