পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। আগামী ৭ মার্চ কাশ্মীরে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উপত্যকায় ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এই প্রথম কাশ্মীর সফরে যাচ্ছেন মোদি। খুব স্বাভাবিকভাবে একদিকে ভোটের প্রচার আর অপর দিকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর প্রধানমন্ত্রীর কাশ্মীর সফর, অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ।
কাশ্মীরে মোদি একটি জনসভা করবেন। মাঠ ভরাতে গেরুয়া সমর্থকদের তৎপরতা তুঙ্গে। আদা-জল খেয়ে বিজেপি কর্মীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। বিজেপির দাবি, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ২ লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে। জানা গেছে, কাশ্মীর সরকার বিভিন্ন বিভাগের কমপক্ষে ৭ হাজার সরকারি কর্মীদের প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এই দফতরগুলির মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, সমাজকল্যাণ, কৃষি, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং শ্রীনগর পুরসভা। কর্মীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে শ্রীনগরের বেসরকারি স্কুলগুলির ২২১টি গাড়িকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। কর্মীরা বিভিন্ন জেলা থেকে এসে সমাবেশে যোগ দেবেন।
সরকার দুটি তালিকা প্রস্তুত করেছে। কর্মীদের যোগাযোগের বিবরণ, ঠিকানা এবং গাড়ির নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অনুষ্ঠানে নাম বা তারিখের কোনও উল্লেখ নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষি বিভাগের এক কর্মী জানিয়েছেন, ৭ মার্চ ভোর সাড়ে পাঁচটায় আমাদের নির্দিষ্ট একটি জায়গায় দাঁড়াতে বলা হয়েছে। জানি না, আমাদের কেনো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কাজই বা কি আছে আমাদের। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কৃষকরা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগী, তাই যেতে হবে। আমাদের বিভাগের ৩০০ কর্মীর নাম রয়েছে তালিকায়।
জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপির প্রধান রবীন্দ্রর রাইনা সোমবার আত্মবিশ্বাসের সুরে জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পরে কাশ্মীরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রথম সমাবেশে ২ লক্ষ মানুষ যোগদান করবে।
আগামী ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শ্রীনগরের বকশী স্টেডিয়ামে সভা করবেন। এদিকে বিজেপি ২ লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে বলে দাবি করলেও, সাংবাদিক সম্মেলনে রায়না বলেন, স্টেডিয়ামটি ৩০ হাজার মানুষের আয়োজনে সক্ষম। এর মধ্যে ১৮ হাজার বসার আসন রয়েছে, বাকি মাটিতে ১০ হাজার মানুষের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।