পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের কানপুরে দুই নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ভোটের আগেই এই ঘটনায় মহিলাদের নিরাপত্তার প্রশ্নে অস্বস্তিতে যোগীরাজ্য। গত বৃহস্পতিবার ২৮ ফেব্রুয়ারি কানুপুরে একটি ইটভাটার কাছে ১৬ ও ১৪ বছরের দুই নাবালিকার একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্তরা ধর্ষণের ভিডিয়ো তুলে সেটি সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়।
লজ্জায় দুই নাবালিকা চরম কাণ্ড ঘটায়। নির্যাতিতার পরিবারের আরও অভিযোগ, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কানপুরের ঘাটমপুর এলাকায় দুই নাবালিকাকে প্রথমে জোর করে মদ্যপান করানো হয়। তার পর ইটভাটার মালিক সহ তার ছেলে ও অপর একজন নির্যাতিতার উপরে পাশবিক নির্যাতন চালায়। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাদের মারধর করা হয়। জানা গেছে, অভিযুক্তরা এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার বলেই পরিচিত। মৃতারা দুজনে সম্পর্কে খুড়তুতো বোন ছিল। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনায় লজ্জায় আত্মঘাতী হয়েছে দুজনে। নির্যাতিতার দাদু জানিয়েছেন, ধর্ষণের ঘটনা ঢাকতে ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল অভিযুক্তরা।
ঘটনায় তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) রবীন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, মৃতার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিয়ো তুলে ভয় দেখানো হয়েছে। মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নাবালিকাদের মৃত্যুর কারণ খুন না আত্মহত্যা, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে সব কিছু স্পষ্ট হবে