পুবের কলম প্রতিবেদক: কথায় বলে আইন যেমন আছে তেমন আইনের ফাঁকও আছে।পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাই এবারের লোকসভা নির্বাচনে এ আই প্রযুক্তির ওপরেই নির্ভর করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন চলাকালীন বা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কোনও সমস্যা হলে তৎক্ষনাৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ওপরেই জোড় দিচ্ছে কমিশন। এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে বুধবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে বাইশটি এজেন্সির নোডাল অফিসারদের সঙ্গে একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ বৈঠক হয়।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখবে এই এজেন্সিগুলো। শুধু খতিয়ে দেখাই নয়, নবনিযুক্ত ইডি থেকে এয়ারপোর্ট অথরিটির মতো এজেন্সিরাও অতি সক্রিয়ভাবে এই বিশ্লেষণের কাজ করবে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে এই পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেবে এই এজেন্সিগুলো। যদিও কমিশন প্রথম থেকেই জানিয়ে দিয়েছে এবার আর কোন কাজই ফেলে রাখা যাবে না এবং কারুর ক্ষেত্রেই কর্তব্যে গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। যে মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট এই এজেন্সিগুলো কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সেখানেই যেন তাঁরা পদক্ষেপ গ্রহণ করে কোনও রকম ভাবে তাঁরা যেন পিছপা না হন। একান্তই যদি কোন বড় ঘটনা ঘটে সেক্ষেত্রে কমিশনের নির্দেশের অপেক্ষা করা ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্রে ‘অন দা স্পট’ সিদ্ধান্ত নিতে এক মুহূর্ত যাতে দেরি না হয় এই কথা ইতিমধ্যেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক থেকে শুরু করে সবাইকেই জানিয়ে দিয়েছে।
আগামী ৩ মার্চ রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ আর তখনই সংশ্লিষ্ট এই ২২টি এজেন্সির কর্ণধারেরা বৈঠক করবেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। তাই এখন থেকেই সবদিকের কাজ একেবারে তৈরি করে রাখার ক্ষেত্রে সব রকম প্রচেষ্টা চালাতে শুরু করা হয়েছে। নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশ হওয়ার পর যাতে আর নতুন করে কোনওরকম ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয় কমিশনের কাজে সেই কথা এদিন ফের রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী দপ্তরের আধিকারিকেরা মনে করিয়ে দেন সংশ্লিষ্ট এই ২২টি এজেন্সিকে। এখন দেখার বিষয়, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কতটা তৎপরতার সঙ্গে কাজ করে সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে এই ২২টি এজেন্সি তাদের নিজেদের ভূমিকাকে অটুট রাখতে পারে।