মোল্লা জসিমউদ্দিন: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে সন্দেশখালি মামলা। এদিন হাইকোর্ট জানিয়েছে, ‘সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলারা চাইলে পুলিশের কাছে না গিয়ে জেলার আইনি সহায়তা কেন্দ্রেও তাঁদের অভিযোগ জানাতে পারেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে’। সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল সন্দেশখালির একাধিক মামলার শুনানি। বিজেপির আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল আদালতে জানান, ‘সন্দেশখালিতে নির্যাতিতা মহিলাদের অভিযোগ শুনছে না পুলিশ। উল্টে অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। দিনের পর দিন এমন হতে থাকলে, নির্যাতিতারা কোনও দিনই সুবিচার পাবেন না’।
বিজেপির আইনজীবীর কাছে এই অভিযোগ শোনার পর হাইকোর্ট জানায়, নির্যাতিতারা তাইলে জেলার আইনি সহায়তা কেন্দ্রে গিয়ে তাঁদের অভিযোগ জানাতে পারেন। সেখানে তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে’।শেখ শাহজাহানকে যে গ্রেফতার করতে কোনও বাধা নেই তা সোমবারই জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, নির্যাতিতারা চাইলে কোনও অভিযোগ জানাতে জেলার আইনি সহায়তা কেন্দ্রে যেতে পারেন’। তবে আইনি সহায়তা কেন্দ্রের যাঁরা অভিযোগ নেবেন, তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে জানিয়েছে আদালত। পাশাপাশি এদিন আদালত বান্ধব জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়কেও সন্দেশখালির সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টে এদিন রাজ্যের তরফে এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত দাবি করেন, ‘ওই এলাকায় গত চার বছর ধরে যৌন নিগ্রহের মোট ৪৮টি মামলা দায়ের হয়েছে। সেগুলির মধ্যে ৪৭টি মামলায় ইতিমধ্যেই চার্জশিট দেওয়া হয়ে গিয়েছে বাকি মামলার তদন্ত চলছে। জমি কেড়ে নেওয়ার মোট ২৪টি এফআইআর রুজু করেছে সন্দেশখালি থানার পুলিশ’। বিষয়টি শোনার পরই উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এটা খুব বিস্ময়কর যে, চার বছর ধরে রাজ্য পুলিশ সবই জানত। অথচ ব্যবস্থা নিতে এত সময় লেগে গেল!’ শাহজাহানকেও যে রাজ্য পুলিশ এতদিনে গ্রেফতার করতে পারত সেটাও জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছেন, ‘শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা যাবে না, এমন কোনও নির্দেশ দেয়নি হাইকোর্ট। ইডির মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল শুধু’।