পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: গোটা বিশ্ব জুড়ে পালিত হল শবে বরাত। বাদ যায়নি ভূস্বর্গ কাশ্মীরও। রবিবার রাতে কাশ্মীরি মুসলিমরা শবে বরাতের নামাজ, কবর জিয়ারত, কোরআন তেলাওয়াত করলেন ঠিকই। কিন্তু একটা গভীর বেদনা থেকে গেল তাদের মনে। সেই ফিলিস্তিনের আর্তনাদ শুরু হওয়ার পর থেকে জুম্মার নামাজ বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল কাশ্মীরের ঐতিহ্যবাহী জামিয়া মসজিদে। এবার বাধা শবে বরাতের নামাজে। জোর করে প্রশাশনের পক্ষ থেকে বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয় মসজিদ। বলে দেওয়া হয়, রাতের বেলা নামাজ পড়া যাবে না সেখানে। গোটা জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসায় যখন প্রার্থনার সুর শোনা গেল, তখন নিরব নাওহাট্টার জামিয়া মসজিদ। কোনও শব্দ নেই সেখানে। কোনও প্রার্থনার ধ্বনি নেই। আর সবটাই হয়েছে প্রশাসনের কৃপায়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে, আনজুমান আউকাফ জামিয়া মসজিদ। তারাই মসজিদের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে। আনজুমান আউকাফের পক্ষ থেকে বলা হয়, শবে বরাতের পবিত্র দিনে আবারও জামিয়া মসজিদের দরজা বন্ধ করিয়ে, মিরওয়াইজ উমর ফারূখকেও গৃহবন্দী করে ইবাদতে বাধা দেওয়া হল। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে, তারা বলে, পবিত্র রমজান মাসের আগে শাবান মাসের এই দিনগুলিতে যখন মসজিদগুলিতে প্রার্থনা প্রতিধ্বনিত হচ্ছে, তখন এখানকার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, জামিয়া মসজিদ নিরব। এটা দূর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এই মসজিদ আর মিরওয়াইজের সঙ্গে যে আচরণ করছে প্রশাসন তাতে মানুষ ক্ষুব্ধ। মন ভেঙেছে তাদের। মানুষের ধর্মীয় অধিকার এভাবে হরণ করা এবং ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপের ঘটনা একেবারের ভালো চোখে দেখছে না আনজুমান। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা।