পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই ২ কোটি চাকরি পাওয়া যায়নি বলেই দাবি দেশবাসীর। উল্টে সেনাবাহিনীতে পাকা চাকরির যে স্বপ্ন দেখত দেশের নওজওয়ানরা, তা কাড়া গেছে মোদির ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের কারণে। ২০২২ সালে অগ্নিপথের ঘোষণা করে কেন্দ্র। ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সের মধ্যে ৪ বছরের জন্যে সেনাবাহিনীতে খানিকটা চুক্তিভিত্তিক পদ্ধতিতে কাজ পাবে যুবকরা। তারপর এদের ৭৫ শতাংশকে ৪ বছর পর ঝোলা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হবে। আর ২৫ শতাংশ নিয়োগ পাবে আরও ১৫ বছরের জন্যে। এই প্রকল্প দেশের বিভিন্ন রাজ্য, বিশেষ করে উত্তর ভারতের বহু যুবকের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করেছে। সোমবার এই অগ্নিপথের বিরোধীতা করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এরই সঙ্গে বড় একটি ঘোষণার কথাও বলেন তিনি। আগামী লোকসভায় কংগ্রেস যদি ক্ষমতায় আসে, তবে অগ্নিপথ স্কিম বাতিল হবে। তার পরিবর্তে আগে যেভাবে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ হত, সেই পদ্ধতিই ফিরিয়ে আনবে কংগ্রেস। খাড়গে সোমবার বলেন, অগ্নিপথের নামে দেশের যুবকদের প্রতি ‘চরম অবিচার’ করা হয়েছে। তাই কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরলে এই প্রকল্প আর রাখা হবে না।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে লেখা চিঠিতেও যুবকদের প্রতি অবিচারের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। তাদের জন্যে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতেও রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানিয়েছেন খাড়গে। তিনি লেখেন, সেনাবাহিনীতে নিয়মিত নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার কারণে প্রায় দুই লক্ষ যুবক-যুবতীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এদিনই কংগ্রসের সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করে শচীন পাইলটও একই কথাই বলেন। তাঁর মতে, ভারত সরকারের জন্য সামান্য অর্থ সঞ্চয় ছাড়া অগ্নিপথ প্রকল্প কারোর কাজের নয়। সামান্য পরিবর্তনের মধ্যমে সেনাবহিনীর আধুনিকীকরণ করা যেতে পারে। কিন্তু অগ্নিপথ কোনও সমাধান নয়। তাই কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরলে এই স্কিম বাতিল করে, পুরনো পদ্ধতিতেই নিয়োগ হবে।