পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিতর্ক অব্যাহতই থাকল। জ্ঞানভাপী নিয়ে মসজিদ কমিটির আর্জি খারিজ করে দিল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। অর্থাৎ বারাণসী আদালতের রায় বহাল রাখল হাইকোর্ট। জ্ঞানভাপী মসজিদ চত্বরে পুজো-পাঠ চলবে বলে জানিয়ে দিল আদালত। মসজিদ কমিটির আবেদন খারিজ করে বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়াল বলেন, ‘ব্যাস তেহখানা’তে হিন্দু প্রার্থনা অব্যাহত থাকবে।” শুধু তাই নয়, মসজিদ চত্বরে যাতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না হয়, সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য অ্যাডভোকেট জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যদিও হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা জানিয়ে দিল আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি।
“Ganga-Jamni Tahzeeb” people went to Court to stop Hindus from worshipping at #Gyanvapi temple, thankfully Allahabad HC refused.. Puja will continue there 🙏
This Is the real side of so-called Bhaichara!!pic.twitter.com/cWX5ZrrFsX
— Mr Sinha (@MrSinha_) February 26, 2024
এদিনের রায়ের পর আইনজীবী প্রভাষ পান্ডে বলেন, ‘আজ আদালত মুসলিম পক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। পুজো চলবে। এটি সনাতন ধর্মের বড় জয়। মুসলিম পক্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করতে পারে বা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে’। জ্ঞানবাপী মামলায়, হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেছেন, ‘আজ এলাহাবাদ হাইকোর্ট মুসলিম পক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। যার অর্থ হল যে পুজো চলছিল। একই পদ্ধতিতে চলবে। মুসলিম পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে গেলে আমরাও সুপ্রিম কোর্টে আমাদের মতামত তুলে ধরব।
উল্লেখ্য, বারাণসী জেলা আদালত গত মাসে রায় দিয়েছিল যে একজন পুরোহিত “ব্যাস তেহখানা” নামক জ্ঞানভাপী মসজিদের দক্ষিণ সেলারে প্রার্থনা করতে পারেন। জেলা আদালতের আদেশটি শৈলেন্দ্র কুমার পাঠকের আবেদনের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছিল, যিনি বলেছিলেন যে তাঁর মাতামহ সোমনাথ ব্যাস ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থনা করেছিলেন। শৈলেন্দ্র কুমার পাঠক অনুরোধ করেছিলেন যে, বংশগত পূজারি হিসাবে, তাকে তেহখানায় প্রবেশ করার এবং পুনরায় পুজো শুরু করার অনুমতি দেওয়া হোক।