ইসলামাবাদ,২১ ফেব্রুয়ারি: নানা নাটকীয়তার পর শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হতে চলেছে পাকিস্তানে। মঙ্গলবার পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) আলোচনা শেষে কেন্দ্রে সরকার গঠনে একমত হয়েছে। সে অনুযায়ী, সরকারের কোন পদ কে পাবেন সেই ভাগাভাগিও প্রাথমিক পর্যায়ে সম্পন্ন হয়েছে। সে অনুযায়ী পিপিপি’র সহসভাপতি আসিফ আলি জারদারি হবেন আগামী প্রেসিডেন্ট। পিএমএলএনের প্রেসিডেন্ট শেহবাজ শরিফ হবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে, জাতীয় পরিষদের স্পিকারের পদ দেওয়া হয়েছে পিএমএলএন’কে। ডেপুটি স্পিকার পদ পাবে পিপিপি। এ ছাড়া সেনেটে চেয়ারম্যান বানানো হবে পিপিপি’র প্রার্থীকে। এর ডেপুটি চেয়ারম্যান করা হবে পিএমএলএন থেকে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজধানী ইসলামাবাদে জারদারি হাউসে বৈঠক শেষে সরকার গঠনের ঘোষণা করেন দুই দলের নেতারা। পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেন, কেন্দ্রে নতুন সরকার গঠনের জন্য পিএমএলএন এবং পিপিপি’র যথেষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। সেই সরকারে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দেওয়া হবে পিএমএলএনের শাহবাজ শরিফকে। একইভাবে পিপিপি’র নেতা আসিফ আলি জারদারি প্রেসিডেন্টের দায়িত্বের জন্য প্রার্থী হবেন। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদে যোগ দেবে না পিপিপি। জাতীয় পরিষদের স্পিকারের পদও যাবে পিএমএলএনের দখলে। দুই দলের মধ্যে এমনই আলোচনা হয়েছে। এদিকে, সরকার গঠনে পিপিপি এবং পিএমএল-এন জোটের তীব্র নিন্দা করেছে ইমরান খানের দল পিটিআই। ‘সুবিধাবাদী জোট’ বলে তাদের করা হয়েছে কটাক্ষ। এক এক্স বার্তায় পিটিআই জানিয়েছে, নির্বাচনে ইমরান খানের দলের পক্ষেই মত দিয়েছিল পাকিস্তানের জনগণ। কিন্তু ‘ম্যান্ডেট চুরি’ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁরা। এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে হুঁশিয়ারি। উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সর্বা্ধিক আসনে জেতে ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সবচেয়ে বেশি আসন জিতেও এই নির্দল প্রার্থীরা সরকার গঠন করতে পারেনি। এখন এই নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়েই সংসদের বিরোধী আসনে বসতে পারে পিটিআই।