পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে উঠে এসেছে জালিয়াতির অভিযোগ। এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিল চেয়ে মামলাও হয়েছে। এরই মধ্যে নির্বাচনে অনিয়মের কথা স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি বিভাগের নির্বাচন কমিশনার লিয়াকত আলি চাথা। রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার পদ থেকে ইস্তফা দেন লিয়াকত। ইস্তফাপত্রে তিনি লেখেন, রাওয়ালপিন্ডির মানুষের সঙ্গে অবিচার করেছেন তিনি। নির্বাচনী ফলাফলে কারচুপির কথা স্বীকার করে লিয়াকত আরও বলেন, ‘ আমি সবকিছুর দায় স্বীকার করছি। এই ঘটনার সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি যুক্ত ছিলেন। আমি অবিচার করেছি রাওয়ালপিন্ডির মানুষের সঙ্গে।’ আরও বলেন, ‘বিজয়ী প্রার্থীকে ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করেছি আমরা।’ সংবাদ সম্মেলন শেষে কমিশনার লিয়াকতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাওয়ালপিন্ডির নির্বাচনী বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীর এমন বিস্ফোরক বয়ান ও গ্রেফতারির পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। কারণ ইতিমধ্যেই পিটিআই সমর্থকরা নির্বাচনে রিগিংয়ের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিভিন্ন অঞ্চলে। সেনা ও সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এখন থেকেই সরব তাঁরা। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের এবারের জাতীয় নির্বাচনে কোনও দলই পায়নি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা। জোট করে সরকার গঠনের আলোচনা চললেও এ জোট কতদিন টিকবে তা নিয়ে জনমনে সংশয় রয়েছে। অনেকেই বলছেন, জোট সরকার হলেও ৮-১০ মাসের বেশি তা টিকবে না। এরপর সম্ভবত জরুরি অবস্থা বা সামরিক আইন জারি হতে পারে।