পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : ‘দেশকে ঐক্যবদ্ধ করাই হল প্রকৃত দেশপ্রেম’, উত্তরপ্রদেশে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে এই বার্তাই দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। বিহারের সাসারাম হয়ে শুক্রবার রাতে এই যাত্রা উত্তরপ্রদেশে প্রবেশ করে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভাই রাহুলের সঙ্গে এই যাত্রায় শামিল হতে পারেননি প্রিয়াঙ্কা। শনিবার এই যাত্রা থেকে ফের বিজেপি সরকারকে নিশানা করে রাহুল বলেন, ‘এখানে ধনী ও দরিদ্ররা এক ভিন্ন ভারতে বাস করেন। কিন্তু দেশকে একত্রিত করাই হল সত্যিকারের দেশপ্রেমের পরিচয়’। এদিন রাহুলের সঙ্গে ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি অজয় রাই সহ অন্যান্য কর্মীরা। একটি খোলা জীপের উপরে দাঁড়িয়ে মন্দির শহরের ব্যস্ত গুদৌলিয়া এলাকায় ভ্রমণ করেন তিনি।
গান্ধি এদিন কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরও দর্শন করেন। রাহুল বলেন, ‘ভারত ভালোবাসার দেশ, ঘৃণার নয়। কিন্তু ভাই-ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে এই দেশকে দুর্বল করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত দেশপ্রেমের মানে হল, মানুষকে একত্রিত করা, ঘৃণা ছড়ানো নয়। রাহুল বলেন, ‘আমি গঙ্গাজীর সামনে মাথা নত করে এসেছি। প্রত্যেকের মনে হওয়া উচিত যে তারা এই যাত্রায় তাদের ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন’।
রাহুল কেন্দ্র সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এখানে ‘দুটি ভারত’ রয়েছে, একটি ধনীদের জন্য আরেকটি গরিবদের জন্য। এদিন সংবাদমাধ্যমকে কটাক্ষ রাহুলকে বলতে শোনা যায়, দেশের কৃষক ও শ্রমিকদের সমস্যার কথা তুলে ধরা হয় না। এখনকার মিডিয়াগুলি ২৪ ঘণ্টাই মোদিজী থেকে ঐশ্বর্যা রাইকে দেখাতে ব্যস্ত, কিন্তু আসল ইস্যুগুলি তারা জনগণের সামনে তুলে ধরতে চায় না। রাহুল এদিনের জমায়েত থেকে একটি ছেলেকে নিজের কাছে ডেকে নিয়ে তার শিক্ষার জন্য খরচ করা অর্থের পরিমাণ ও বেকারত্বের বিষয় জানতে চান। রাহুল বলেন, বর্তমান সময়ে দেশে সব থেকে বড় সমস্যা বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতি।
রায়বেরিলিতে রাহুলের সঙ্গে এই যাত্রায় যোগ দেবেন অখিলেশ যাদব।