পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : লোকসভা ভোটের আগে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা থেকে এক জোড়ালো বার্তা দিলেন রাহুল গান্ধি। জোটের বার্তা দিতে গিয়ে রাহুলের গাড়ির চালকের আসনে দেখা গেল বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে। রাহুল এদিন বলেন, বিহারের চালকের আসনে থাকবেন তেজস্বী।
যখন ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে, তখনই পাঁচদিনের বিরতির পর বিহারের সাসারাম যাত্রার শুরুর দিনেই রাহুলের গাড়ির সারথী হলেন তেজস্বী। দুজনের মধ্যে উষ্ণ আলিঙ্গন বিনিময়ের পরে রাহুল গান্ধি তেজস্বীকে তার গাড়ির চালকের আসনে বসতে বলেন। লালু-পুত্র এক্স হ্যান্ডলে রাহুলের সঙ্গে তাঁর ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘বিহারের সাসারাম থেকে আজ সকালে রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার সূচনা হল।’
জানুয়ারি মাসে জেডিইউ প্রধান নীতীশের ‘ইন্ডিয়া’ ছাড়ার পরে বিহারে বিজেপি বিরোধী জোটের ‘ভবিষ্যৎ’ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। এই আবহে শুক্রবার তেজস্বীর উপস্থিতিতে নতুন মাত্রা পেল ‘ইন্ডিয়া’য় ঐক্যের ছবি। আরজেডির তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার দুপুরে উত্তরপ্রদেশ লাগোয়া কৈমুর জেলার দুর্গাবতীতে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র জনসভা হবে। সেখানে রাহুলের সঙ্গেই মঞ্চে থাকবেন তেজস্বী।
প্রসঙ্গত, ১৪ জানুয়ারি যখন মণিপুর থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন রাহুল, তখন বিহারে ক্ষমতায় ছিল ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকার। যে জোটের বৃহত্তম শরিক ছিল তেজস্বীর আরজেডি। রাহুলের দল কংগ্রেস ছিল তৃতীয় বৃহত্তম শরিক। কিন্তু গত ২৯ জানুয়ারি যখন কিষাণগঞ্জে প্রবেশ করে রাহুলের যাত্রা, তখন ‘মহাগঠবন্ধন’-এর মেজো শরিক নীতীশ বিজেপির হাত ধরায় বিহারে সরকার বদলে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ‘কিষান মহাপঞ্চায়েত’ যাত্রায় দুই নেতাকে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে জোর সওয়াল করতে দেখা গেছে। যেখানে রাহুল মোদি সরকারকে নিশানা করেন, অপরদিকে তেজস্বী নীতীশ কুমারের কর্মকাণ্ড নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন। তেজস্বী সেই সময় নীতীশকে ‘পাল্টুরাম’ বলে উল্লেখ করে বলেন, আমি যখন প্রথম ১০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তখন তিনি (নীতীশ) আমাকে নিয়ে উপহাস করে জিজ্ঞেস করেছিলেন, আমি বেতন দিতে আমার বাবার থেকে টাকা নেব কিনা? তেজস্বী বলেন, এনডিএতে যোগদানের চেয়ে যে ‘মৃত্যু পছন্দ’ বলেছিলেন, সেই নীতীশকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে কেন তিনি ফের বিজেপিতে যোগ দিলেন।