শুভজিৎ দেবনাথ, ধূপগুড়িঃ কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য ধরা পড়ল ডুয়ার্স থেকে। সোমবার ডুয়ার্সের আকাশ ছিল পরিষ্কার, তাই এই মনোরমদৃশ্য দুচোখে বন্দি করলেন শহরবাসী। তবে সেই সঙ্গে ঝলসে উঠল ক্যামেরার ঝলকানি, একের পর এক শটে ক্যামেরাবন্দি হল কাঞ্চনজঙ্ঘার এই মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য।
ধর্মঘটের কারণে স্বাভাবিকভাবে বাস চলাচল ছিল না, বন্ধ ছিল দোকান পাটও। আর তাই কাঞ্চনজঙ্ঘা অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে ধূপগুড়ি শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ভিড় জমিয়েছিলেন শহরবাসী। কেউ মোবাইল নিয়ে কেউ বা আবার সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন। এতদিন অক্টোবর মাসের শেষের দিকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ সৌন্দর্যের দেখা মিলত উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলা থেকে, তবে এবার সেপ্টেম্বর মাসের শেষ থেকেই ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখা গেল এই নৈসর্গিক দৃশ্য। মাঝে মধ্যে মেঘের কারণে মেঘের আড়ালে চলে গিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা। তবে আজ ভোর থেকে রোদ ঝলমলে মেঘমুক্ত আকাশ হওয়ায় কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখা গেছে। ঘুরতে আসা পর্যটকরা বিভিন্ন নদীর ধারে এবং ফাঁকা জায়গায় থেকে উপভোগ করলেন এই দৃশ্য।
কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মিলছে ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি এলাকা থেকেও যার ফলে খুশি সাধারণ মানুষ থেকে পর্যটকেরা।
রেজ্জাক হোসেন বলেন, এতদিন দার্জিলিং যেতে হত কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে কিন্তু এখন ধূপগুড়ি থেকে দেখা মিলছে কাঞ্চনজঙ্ঘার সোনালী চূড়ার। প্রচুর মানুষ সকাল থেকে ধূপগুড়ি তিন নম্বর ব্রিজ এলাকায় ভিড় জমিয়েছেন। এমনকি ঠাকুরপাঠ এলাকাতেও প্রচুর মানুষকে ভিড় জমান।
বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘আমরা তো অবাক হয়ে গিয়েছি যে চোখের সামনে কাঞ্চনজঙ্ঘার এত সুন্দর পরিষ্কারভাবে দেখতে পাব আশা করিনি। আকাশ ছিল পরিষ্কার আর সূর্যের আলো সোজা কাঞ্চনজঙ্ঘার শৃঙ্গে গিয়ে পড়েছিল, দেখে মনে হচ্ছিল সোনা দিয়ে কেউ মুড়ে দিয়েছে পাহাড়টিকে। আমরা দারুণ খুশি এবং আনন্দিত।’