পুবের কলম প্রতিবেদক: রবিবার তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সেই প্রার্থী তালিকায় নতুন চমক হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে বিশিষ্ট সাংবাদিক সাগরিকা ঘোষকে। তৃণমূলের প্রকাশিত প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী, রাজ্যসভায় এবার জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের সুপরিচিত নাম রাজদীপ সরদেসাইয়ের স্ত্রী সাগরিকা ঘোষকে পাঠানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সাল থেকে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন সাগরিকা ঘোষ। সর্বভারতীয় স্তরে প্রথম সারির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন তিনি। এছাড়া তাঁর বেশকিছু বইও পাঠকমহলে যথেষ্টই প্রশংসিত হয়েছে। সাগরিকা ঘোষের জন্ম দিল্লিতে। বাবা প্রাক্তন আইএএস অফিসার ভাস্কর ঘোষ এবং স্বামী রাজদীপ সরদেশাইও একজন বিখ্যাত সাংবাদিক।
এদিন তৃণমূল রাজ্যসভার শূন্য হতে চলা পাঁচ আসনের মধ্যে যে চার আসনের জন্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে তাঁদের মধ্যে রাজনীতির ময়দানে সব থেকে বেশি অপরিচিত মুখ হলেন সাগরিকা। কেননা এর আগে তিনি কোনওদিন রাজনীতির মাঠে পা দেননি। কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে কোনও প্রচারেও নামেননি। এবার প্রথমবার তিনি তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রার্থী হচ্ছেন। ব্যক্তিগত পরিচয়ের দিকে পিছিয়ে থাকলেও তাঁর পারিবারিক পরিচিতি বেশ ইর্ষাণীয়।
একদিকে, সাগরিকা সাংবাদিক রাজদীপ সারদেশাইয়ের স্ত্রী। অন্যদিকে, সাগরিকার বাবা ভাস্কর ঘোষ রাজীব গান্ধির প্রধানমন্ত্রীত্বকালে কেন্দ্র সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিব ছিলেন। সাগরিকার দুই পিসির একজন রুমা পাল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ছিলেন। অপর পিসি অরুন্ধতী ঘোষ রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রতিনিধি ছিলেন। এহেন পরিবারের মেয়ে সাগরিকা বেড়েই উঠেছেন কংগ্রেসি পরিমন্ডলে। ইন্দিরা গান্ধিকে নিয়ে লিখেছেন ‘ইন্দিরা, ইন্ডিয়াজ মোস্ট পাওয়ারফুল প্রাইম মিনিস্টার’ নামে একটি বই-ও।
এহেন পটভুমি থেকে আসা সাগরিকাকে প্রার্থী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদতে কংগ্রেসকেই বার্তা দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, যে ৫টি আসন এবারে বাংলা থেকে রাজ্যসভায় শূন্য হতে চলেছে তার মধ্যে একটি আসনে ৬ বছর সাংসদ ছিলেন কংগ্রেসের সাংসদ তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তাঁকে ফের প্রার্থী করলে সিংভিকে হয়তো তৃণমূলে যোগ দিতে হতো। যা সম্ভবত সিংভি করতে চাননি। তবে, সাগরিকাকে প্রার্থী করতে সেরকম কোনও বাধা নেই।