পুবের কলম প্রতিবেদকঃ কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাতভর রেড রোডে ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। রেড রোডের পাশের ময়দানে বাচ্চাদের বাস্কেট বল খেলাও দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন হালকা মেজাজে বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় তাঁকে। বাচ্চাদের হাতে তুলে দেন চকলেট।
মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে চকলেট পেয়ে বাচ্চারাও খুশি হয়। এরপর ফিরে এসে ধর্ণা মঞ্চ থেকে কংগ্রেসকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কংগ্রেস সারা দেশে ৪০টা আসন পাবে কি না জানি না! আগে নিজের জায়গা দেখাও! পারলে বারাণসীতে গিয়ে বিজেপিকে হারাও। রাজস্থান তোমরা জেতা জায়গায় হেরেছ। মধ্যপ্রদেশে গিয়ে বিজেপিকে হারাও।
এদিকে, শনিবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে শহর কলকাতা। কোথাও কোথাও দৃশ্য মান্যতা নেমে এসেছে ৫০ মিটারে। তবে, শুধু কলকাতা নয়, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই এদিন সাত সকালে দৃশ্যমান্যতা ৫০ মিটারেরও নীচে নেমে যায় ঘন কুয়াশার কারণে। আবহাওয়া দপ্তরের মতে, বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। তবে এদিন থেকে বাংলায় কমতে চলেছে বৃষ্টির পরিমাণ। যদিও, ভোর রাতে কিছু জেলায় খুব হালকা বৃষ্টি হয়েছে। আর এই বৃষ্টি কুয়াশার মাঝেই কলকাতার রেডরোডে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, জেলায় জেলায় কুয়াশার দাপট অব্যাহত থাকলেও নতুন করে জাঁকিয়ে শীত ফেরার সম্ভবনা প্রায় নেই। দক্ষিণী হাওয়ার প্রভাব এখন ক্রমশই বাড়বে। আর তাই বৃষ্টির পরেও তাপমাত্রা খুব একটা নামার সম্ভাবনা নেই। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আগামী কয়েকদিন কুয়াশার দাপট থাকবে। এমনকি আগামী দুই দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পার্বত্য এলাকায়।
তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকছে সিকিম ও দার্জিলিঙে উঁচু পার্বত্য এলাকায়। বাকি উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভবনা কম। তবে সেখানে থাকবে ঘন কুয়াশার দাপট। কুয়াশার দাপট সব থেকে বেশি থাকবে মালদা এবং দুই দিনাজপুরে। দক্ষিণবঙ্গে, উপকূল সংলগ্ন এবং বাংলাদেশ সংলগ্ন জেলাগুলিতে শেষ রাতে বা ভোরের দিকে সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে রবিবারও। বেলা বাড়লে পরিষ্কার হবে আকাশ।