পুবের কলম প্রতিবেদক: হাতে গোনা আর মাত্র কটা দিন, তারপরেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাবে। ইতিমধ্যেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু নজরকাড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে, উল্লেখযোগ্যভাবে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার আগেই নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে প্রত্যেক বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও ২০১৯ এবং ২০২১ সালে এই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হলেও তাকে সম্পূর্ণভাবে মনিটর করেছে বিএসএফ। কিন্তু এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সবকিছুই মনিটর করবে সিআরপিএফ।
শাসক থেকে বিরোধী সকলেই বিএসএফের দিকে বিভিন্ন সময়ে আঙ্গুল তুলেছে। তাই সবকিছু পর্যালোচনা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের মুখ্য-নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর, জেলা নির্বাচনী আধিকারিক বা রিটার্নিং অফিসার থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনী যেখানে যেখানে মোতায়েন হবে তার সবকিছুই মনিটর করবে একমাত্র সিআরপিএফ। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত সব বিষয়ে কমিশন এবং মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে লিয়াঁজোর কাজ করবে সিআরপিএফ। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার আগে থেকেই সব দিকের সবকাজ আগে থাকতেই শেষ করে রাখতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি এবং অতি সক্রিয়তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন করেছিল রাজ্যের শাসক দল। অন্যদিকে রাজ্যের শাসক তথা বিরোধী তর্জার মাঝেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে আসন্ন ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মোতায়েন করা থেকে শুরু করে সবকিছুই মনিটর করবে সি আর পি এফ। এখন দেখার বিষয় একটাই, সম্প্রতি রাজ্যের শেষ হওয়া পঞ্চায়েত ভোটে মানুষের মধ্যে যে আতঙ্কের ছবি এখনো ঢুকে রয়েছে সেই আতঙ্ককে দূর করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিজস্ব যে ভূমিকা তাঁকে যথাযথ ভাবে পালন করে আদপে সিআরপিএফ কতটা সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে এবং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের গরিমাকে ধরে রাখতে কতটা তৎপর হতে পারে। তবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের যে ভূমিকা এখন থেকেই সাধারণ মানুষ দেখছে তাতে হয়তো অবাধ শান্তিপূর্ণ এবং রক্তপাতহীন লোকসভা নির্বাচনের আশায় বুক বাঁধছে এ রাজ্যের সাধারণ মানুষ।