পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তফশিলি জাতি-উপজাতি আইনের অধীনে শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট করে জানিয়েছে, জাতপাতের আওতায় অপরাধ হয়েছিল এমনটা বলা যাবে না। আদালত সূত্রে খবর, বাড়ির পরিচারিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল ওই ব্যক্তি। সেই পরিচারিকা আদালতকে জানান, তপশিলি হওয়ার সুযোগেই তাকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালত স্পষ্ট করে এই মামলায় জানিয়ে দেয়, জাতপাতের অধীনে ওই ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা যাবে না। এর আগে এই মামলায় অপরাধীকে দোষী সাব্যস্ত করে ট্রায়াল কোর্ট, ছত্তিশগড় হাই কোর্টও সেই সাজা বহাল রাখে।
শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্র এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ট্রায়াল কোর্টের পাশাপাশি তফশিলি জাতি-উপজাতি আইনের অধীনে ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য ছত্তিশগড় হাইকোর্টের আদেশও বাতিল করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতি অত্যাচার প্রতিরোধ আইন-১৯৮০ এর ধারা ৩(১)(এক্স আই ) এর অধীনে একজন মহিলার শালীনতাকে ক্ষুন্ন করার অভিযোগ থেকে এক ব্যক্তি অব্যাহতি দিয়ে জানিয়েছে, জাতপাতের অধীনে যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল এ কথা বলা যাবে না। অর্থাৎ, সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য অনুযায়ী, এই মামলায় জাতপাতকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছেন, “এসসি/এসটি আইনের ধারা ৩(১)(এক্স) এর বিধান অনুযায়ী অপরাধটি অবশ্যই তফশিলি জাতি বা তফশিলি উপজাতির অন্তর্গত। তবে এই মামলাটি জাতপাতের ভিত্তিতে করা হয়েছে। ট্রায়াল কোর্ট ২০২২ সালে ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৫১ ধারা ও ৩৫৪ ধারা ও তফশিলি জাতি-উপজাতি আইনের ৩ (১) (এক্স আই) ওই ব্যক্তিকে দোষীকে সাব্যস্ত করে। হাইকোর্ট তফশিলি জাতি-উপজাতি আইনে অধীনে দোষী সাব্যস্ততা বহাল রাখে, কিন্তু এবং তাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে অপরাধ থেকে তাকে মুক্তি দেয়।