পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক : ইরাক-সিরিয়ার পর এবার জর্ডানে অবস্থিত আমেরিকার এক সেনা ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার খবরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এই ড্রোন হামলায় অন্তত ৩ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া অন্তত ৩৪ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮ মার্কিন সেনাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, সিরিয়া সীমান্তবর্তী জর্ডানের উত্তরপূর্বাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম ওই অঞ্চলে চালানো কোনও হামলায় মার্কিন সেনা নিহতের ঘটনা ঘটল। যদিও গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার বিভিন্ন ঘাঁটিতে হামলার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এতদিন কেউ নিহত হয়নি।
নতুন হামলা নিয়ে বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আমরা এখনও এ হামলা-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছি। তারপরও আমরা জানি, সিরিয়া ও ইরাকে কার্যক্রম পরিচালনাকারী ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো এ হামলা চালিয়েছে।’ জো বাইডেন বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে এ হামলার পেছনে যারা রয়েছে, তাদের সবাইকে আমরা সময়মতো আমাদের পছন্দমতো কায়দায় জবাবদিহির আওতায় আনব।
’ হামলায় হতাহতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। জর্ডানে বর্তমানে ৩ হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। যে ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে সেখানে অন্তত ৩৫০ মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
সন্ত্রাস-বিরোধী যুদ্ধের নামে মধ্যপ্রাচ্যের আরও অনেক দেশের মতো জর্ডানেও সেনা মোতায়েন করে রেখেছে ‘সাম্রাজ্যবাদী’ আমেরিকা। আর আমেরিকার এই ঘাঁটিগুলিতে ইরান সমর্থিত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী হামলা চালিয়ে আসছে।
এদিন অবশ্য ইরান হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইরানের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, অঞ্চলের বাস্তবতাকে পাল্টে দেওয়ার সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে এই দাবিগুলো করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘আমেরিকার বিবৃতি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি-স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।’