দেরাদুন, ২৭ জানুয়ারি: ভারত-চীন সমস্যার পর সীমান্ত এলাকা থেকে বহু গ্রামবাসীকে সরিয়ে নিয়েছিল উত্তরাখণ্ড সরকার। দীর্ঘদিন জনশূন্য হয়ে পড়ে আছে ওই গ্রামগুলি। এবার সীমান্তে গ্রামগুলিতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে চলেছে উত্তরাখণ্ড। সরকারি উদ্যোগে ‘ভাইব্র্যান্ট ভিলেজ প্রোগ্রাম’ মধ্যদিয়ে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে পুনর্বাসনের কাজ শুরু করা হবে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রাথমিকভাবে উত্তরকাশী জেলার জাদুং এলাকা বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৬২ সাল থেকে ভারত-চীন সীমান্ত সংঘাতের সময় থেকে জাদুং এলাকার গ্রামগুলি জনমানবহীন হয়ে পড়ে রয়েছে। সেই এলাকাকে নতুন করে বসবাসযোগ্য করে তুলছে চাইছে পুষ্কর সিং ধামির সরকার। রাজ্যের পর্যটন দফতরের সচিব শচীন কুর্ভে জানিয়েছেন, “প্রাথমিকভাবে পর্যটন বিভাগের অধীনে থাকা জরাজীর্ণ ছয়টি বাড়ি পুণনির্মাণ করা হবে। এবং সেগুলিকে হোমস্টে হিসাবে ব্যবহার করা হবে। এতে রাজ্যের পর্যটন শিল্পে উন্নতি ঘটবে।”
পর্যটন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল পর্যটন বিভাগকে চাঙ্গা করা। দফতরের অধীনে থাকা ঐতিহ্যবাহী বাড়িগুলিকে পুণনির্মান ও সংস্কার করে পর্যটনের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ঐতিহ্যবাহী বাড়িগুলি হোমস্টে হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে পর্যটকদের। সেগুলির দেখভালের দায়িত্ব থাকবেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। দফতরে সচিব কুরভে বলেন, “প্রায় ৩,৮০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত জাদুংয়ের গ্রামগুলির সুন্দর দৃশ্য রয়েছে। গ্রামগুলি ধীরে ধীরে জনশূন্য হয়ে পড়েছে। তবে নতুন উদ্যোগের ফলে তা পুনরুজ্জীবিত করা হবে।” এই উদ্যোগ উত্তরাখণ্ড পর্যটন শিল্পে উন্নয়ন বয়ে আনবে বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের পর্যটন মন্ত্রী সতপাল মহারাজ।