নয়াদিল্লি, ২৪ জানুয়ারি: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (এএমইউ) নিয়ে সুপ্রিম প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র। বুধবার ‘আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৮১’ সালে সংসদে যে সংশোধনী আনা হয়েছিল, তা সরকার মেনে নেয়নি বলে জানান কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তাঁর বক্তব্যের রেস ধরেই প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, “যে সরকারই ক্ষমতা থাকুন তাদের সংসদের নিয়মনীতি, উদ্দেশ্য ও গরিমাকে মর্যাদা দেওয়া উচিত। সরকারকে এই সংশোধনী মানতে হবে।”
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু মর্যাদা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে কেন্দ্র। সেই মামলা গড়াই শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। মামলার শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না প্রশ্ন তুলে জানতে চান, “১৯৮১ সালের সংশোধনী আইন সরকার কি মেনে নিচ্ছে?” জবাবে সলিসিটর জেনারেলের জানান, ‘আমি নই।’
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিন বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে। বিস্ময় প্রকাশ করে সলিসিটর জেনারেলকে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আপনি কীভাবে সংসদে একটি সংশোধনী আইন মেনে নিতে পারেন না?” তিনি আরও বলেন, “ভারত সরকার কেনো বলছে না যে তারা সংসদের সংশোধনী আইন সমর্থন করেন না। সরকারকে এই সংশোধনী আইনের পক্ষেই দাঁড়াতে হবে। না মানতে চাইলে আপনাদের কাছে বিকল্প পথ রয়েছে। সংশোধনী আইনটি পুণরায় পরিবর্তন করুন।” সলিসিটর জেনারেল বলেন, “‘আমি ‘এ’ বনাম ‘বি’ নিয়ে তর্ক করছি না। আমি সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে সাংবিধানিক প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি। ২০০৬ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট আইনিকে অসাংবিধানিক বলে জানিয়েছিল। সেটাই আমি তুলে ধরার চেষ্টা করছি।”