উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: সুন্দরবনের কুলতলির বেহাল জেটিঘাটের দ্রুত সংস্কারের দাবি তুললো স্থানীয় বাসিন্দারা। আগের জেটিঘাট ভেঙে যাওয়ার ফলে কিছুটা দূরে নতুন করে তৈরি করা হয়েছিল নতুন কংক্রিটের জেটিঘাট। কিন্তু তার অবস্থাও ভয়াবহ। নামে ঢালাই হলেও, কংক্রিটের সঙ্গে নদীর পাড়ের মাটির কোনও যোগ নেই। জেটি থেকে এক চিলতে একটি কাঠের তক্তা পাতা, তা দিয়েই ওঠানামা করতে হয়। হামেশাই পা পিছলে পড়ে লোকজন। তাছাড়া জেটির স্ল্যাবগুলিও ভাঙা, চারদিকে কোনও রেলিং নেই। সেই জন্য প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয় পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনকে দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। কুলতলি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রূপা সর্দার বলেন, কিভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় দেখছি।
জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের কুলতলি থানার দেউলবাড়ি দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু প্রাচীন ও জনপ্রিয় মাছের বাজার বলতে কাঁটামারি বাজার। এই এলাকাতে কয়েকশো মৎস্যজীবী পরিবারের বাস। তাঁদের সুবিধার্থেই জেটিঘাট তৈরি করা হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। কিন্তু তাঁর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। তাই তড়িঘড়ি তিন বছর আগে ওই জেটি থেকে কিছু দূরে প্রশাসন আর ও একটি জেটিঘাট তৈরি করে দেয়। এই জেটিঘাট থেকেই নদীতে মাছ কাঁকড়া ধরতে যায় মৎস্যজীবীদের ট্রলার। আবার অনেক যাত্রী এই জেটিঘাট থেকেই নৌকা করে কৈখালি যান। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘জেটিতে কোনও রেলিং নেই। কংক্রিটের স্ল্যাব অনেক জায়গাতে ভেঙে গিয়েছে। পর্যটকদের বোট বা লঞ্চ ও মৎস্যজীবীদের ট্রলারের ভিড়ের সময়ে ঘাটে নামতে গিয়ে বিপদ ঘটে যায়। অনেকেই নদীতে পড়ে যান। সন্ধ্যার সময় কোনও আলোর ব্যবস্থাও নেই জেটিঘাটে। তাই সমাজবিরোধী ও মদ্যপদের আড্ডা বসে যায় জেটিঘাট চত্বরে।’
কাঁটামারি বাজার এলাকায় মাছের বাজারের জন্য এই জেটি ধরেই মৎস্যজীবীরা আসেন। জেটির অবস্থা নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানানো হলেও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অবিলম্বে এই জেটি মেরামত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কুলতলির বিডিও সুচন্দন বৈদ্য বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগে বিডিও হিসাবে কাজে যোগ দিয়েছি। আমি বিষয়টি দেখছি।’