মোল্লা জসিমউদ্দিন: কেন্দ্রীয় এজেন্সিদের বিরুদ্ধে অনেকেরই অভিযোগ যে, বিনা বিচারে দীর্ঘদিন জেলে আটক করে রাখা হচ্ছে।এবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিল গরু পাচার মামলায় নিম্ন আদালতে ট্রায়াল শুরু করার জন্য।গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের মামলার ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট ।
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে নিম্ন আদালতে ( দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্ট).শুরু করতে হবে অনুব্রত মণ্ডলের মামলার ট্রায়াল, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে। গরু পাচার মামলায় দীর্ঘদিন জেলবন্দি বীরভূমের বেতাজ বাদশা তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বোলপুরের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তারপর প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল তাঁকে। পরে রাজ্যের বাইরে, তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয় কেষ্ট মণ্ডলকে। আপাতত তিহাড়েই বন্দি রয়েছেন অনুব্রত। কিন্তু গ্রেফতারির পর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও, তাঁর মামলার ট্রায়াল শুরু হচ্ছিল না বলে অভিযোগ তুলছিলেন অনুব্রতের আইনজীবী । ইতিমধ্যে অনেকবার জামিনের আর্জিও জানিয়েছেন তিনি । কখনও শারীরিক কারণ দেখিয়ে, কখনও আবার তিনি ‘মাস্টারমাইন্ড’ নন, সেই তত্ত্ব তুলে ধরে। এমনকী বিএসএফ আধিকারিক জামিন পেয়েছেন, কিন্তু তিনি জামিন পাচ্ছেন না? সেই কথাও বলা হয়েছে বিভিন্ন আদালতে। তবে জামিন এখনও অধরা। মামলার দ্রুত বিচারের জন্য সম্প্রতি তিনি সুপ্রিম দরবারে আবেদন দেন।
সোমবারেও অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আর্জির তীব্র বিরোধিতা করা হয় ইডির তরফে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এদিন সুপ্রিম কোর্টে অনুব্রত সংক্রান্ত মামলায় হাজির ছিলেন আইনজীবী এস ভি রাজু। ইডির আইনজীবী এদিন আবারও কেষ্টর জামিনের বিরোধিতা করে সওয়াল করে জানান, ‘ইনিই মূল অভিযুক্ত। জামিন পেলে সাক্ষ্য প্রমাণ নষ্ট করবেন। কোনওভাবেই ওনাকে জামিন দেওয়া উচিত নয়।’
ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে এবার নিম্ন আদালতে কেষ্টর মামলার ট্রায়াল শুরু করার জন্য সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে নিম্ন আদালতে শুরু করতে হবে অনুব্রত মামলার ট্রায়াল। উল্লেখ্য , অনুব্রতর মামলা বর্তমানে দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্টে চলছে। নিম্ন আদালতে ট্রায়াল শুরুর পর আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ফের সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।