পুবের কলম প্রতিবেদক: আইনি জটিলতা কাটিয়ে পৃথক মহকুমার সম্মান পেল ধূপগুড়ি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ধূপগুড়িকে পৃথক মহকুমা করার বিষয়ে যে আইনি জটিলতা ছিল তা কেটে গিয়েছে। শুক্রবার সেই সংক্রান্ত ইতিবাচক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘কথা দিয়ে কথা রাখার নামই হল তৃণমূল।’ ওই পোস্টের সঙ্গেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আরও লেখেন, ‘গত ২ সেপ্টেম্বর আমি কথা দিয়েছিলাম, ধূপগুড়িকে পৃথক মহকুমায় উন্নীত করা হবে। আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার তা পূরণ করেছে। মাইল মাইল দূর থেকেও আমি আজ সেখানকার মানুষের উদ্বেল হওয়া মুখগুলি দেখতে পাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির কথা মাথায় রেখে ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তারা জিতলে পৃথক মহকুমা করা হবে। প্রচারে গিয়েও সেই কথা জোরের সঙ্গে ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে হওয়া উপনির্বাচনে বিজেপির জেতা আসন ছিনিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল। সূত্রের খবর, ভোটের পর বিজেপির নেতারাও ঘরোয়া আলোচনায় একপ্রকার স্বীকার করে নিয়েছিলেন, শেষ পর্বে অভিষেকের মহকুমা করার প্রতিশ্রুতি ধূপগুড়ির ভোট সমীকরণ বদলে দিয়েছিল।
ধূপগুড়ির বাসিন্দাদের দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি অবশেষে পূরণ করল রাজ্য সরকার। সবক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও দু-একটি ক্ষেত্রে আইনি জটিলতায় সিদ্ধান্ত আটকে ছিল৷ জট ছাড়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে ফোনও করেন বলে জানা যায়৷ মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমাদের তরফে সবকাজ সারা হয়ে গিয়েছে৷ ফাইল আপনার ওখানে আটকে আছে৷ মানুষ ভাবছে রাজ্য সরকারের গাফিলতিতে আটকে আছে৷ অনুগ্রহ করে আপনি ফাইল ছেড়ে দিন৷ এতে কয়েক লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন৷ এরপরই এবিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেন প্রধান বিচারপতি এবং সবরকম আইনি জটিলতা কাটিয়ে ধূপগুড়ি পৃথক মহকুমার মর্যাদা পায়৷