পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ফের করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বগামী। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাক্কা সামলে সবে মাত্র মানুষ একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। কিন্তু আবার চতুর্দিকেই বাড়ছে সংক্রমণের পারদ। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনেই ভ্যাকসিনের ডোজ ২ কোটি পার হয়েছে বলে দাবি করা হয় বিজেপির নেতৃত্বের তরফে। পাশাপাশি চিকিৎসকদের পরামর্শ ভ্যাকসিন নেওয়া হলেও করোনা বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। কিন্তু রাস্তাঘাটে এখনও গাফিলতির চিত্র স্পষ্ট। একটানা তিনদিন আক্রান্তের সংখ্যা তিরিশ হাজারের নীচে থাকার পরে দৈনিক সংক্রমণ ফের তিরিশ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সেই রকমই রিপোর্ট দিচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৩৮২ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ৩১ হাজার ৯৯৩ জন। এরপর কয়েকদিন সংখ্যাটা ৩০ হাজারের পরে আবার গণ্ডি ৩০ হাজার পার করে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩২ হাজার ৫৪২ জন। গতকাল সুস্থতার হার ছিল ৩১ হাজার ৯৯০ জন। গতকাল মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৮২। আজ এক ধাক্কায় মৃত্যু বেড়ে ৩১৮।
কেরলেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুর পরিসংখ্যানও। আক্রান্তের নিরিখে দেশে প্রথম স্থানে রয়েছে কেরল। গত ২৪ ঘণ্টায় সামান্য বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে সেখানে ১৯ হাজার ৬৭৫ জনের শরীরে সংক্রমণ মিলেছে। বিগত কয়েক দিনে আক্রান্তের নিরিখে তামিলনাড়ু দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও তাকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩২০ জন। আক্রান্তের নিরিখে দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। বিগত কয়েকদিন ধরে সাতশোর আশেপাশে ছিল সংক্রমণের গ্রাফ। এরপর কয়েকদিন দিয়ে তা কমে গিয়ে ৬০০-আশেপাশে দাঁড়ায়। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় ফের এই রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৬ জন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৭০৩ জনের। তবে উত্তরপ্রদেশের মতো বড় রাজ্যে কিন্তু সংক্রমণের রিপোর্ট অনেকটাই কম। গোটা রাজ্যে দৈনিক মোট আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ১১ জন। বিগত এক সপ্তাহ ধরে এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ এর নীচেই রয়েছে। তবে মোট মৃতের সংখ্য়া ২২ হাজারের আশে পাশেই ঘোরাঘুরি করছে। অন্যদিকে, রাজধানী দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ জন। প্রায় প্রত্যেক রাজ্যেই ফেস্টিভ মরশুম। এই সময়ে করোনা লাগামছাড়া গতিতে বাড়তে পারে আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা। প্রত্যেককেই মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করার দিকে নজর দিতে বলা হচ্ছে। একটু গাফিলতি যে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে সে কথা বার বার সতর্ক করে চলেছেন চিকিৎসকেরা।