পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: এক দেশ এক নির্বাচনের দাবি নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি সরকার। সেই জন্যে কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। শীর্ষে বসানো হয়েছিল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে। এরকম নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে কি মত কংগ্রসের, কমিটি সেকথা জানতে চেয়েছিল গত ১৮ অক্টোবর। মতামত চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। শুক্রবার তার জবাব দেন খাড়গে। কমিটিকে চিঠিতে তিনি লেখেন, ভারতের সংবিধানের কাঠামোর সঙ্গে এই ধরণের নির্বাচন পদ্ধতির কোনও মিল নেই। এমন কিছু করতে চাইলে, সংবিধানই পাল্টে ফেলতে হবে।
তিনি লেখেন, এই পদ্ধতি ফেডারেলিজমের গ্যারেন্টি ও সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী । রাম নাথ কোবিন্দের উদ্দেশ্যে খাড়গে লেখেন, কেন্দ্রীয় সরকার যেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিত্ব ও পদের অপব্যবহার না করে, তা যেন নিশ্চিত করেন কোবিন্দ। কংগ্রেস সভাপতি লেখেন, কংগ্রেস এক দেশ এক নির্বাচনের ভাবনার কঠোর বিরোধী। ভারতের গণতন্ত্রের স্বার্থে এইরকম ভাবনা ত্যাগ করে কমিটি ভেঙে দেওয়া হোক। যে দেশে সংসদীয় শাসন রয়েছে, সেখানে এক সঙ্গে এভাবে নির্বাচন করা যায় না।
১৭ টি পয়েন্টে নিজেদের মতামতের কথা লিখেছেন খাড়গে। শুধু কংগ্রেস নয়, সিপিআইএম সহ অন্যান্য বিরোধীরাও এক দেশ এক নির্বাচনের বিরোধীতা করেছে। সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এক দেশ এক নির্বাচনের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি সরকার চাইছে, এক সঙ্গে এক দিনে লোকসভা, বিধানসভা, পৌরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে। কিন্তু এমনটা করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আঞ্চলিক দলগুলি। সবকটি স্তরে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন সরকারের জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে শতগুণ।