পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : দিল্লির সরকারি আবাসন ছাড়লেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এস্টেট অধিদফতর (ডিওই)মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরেই তাঁকে বাসভবন খালি করার নোটিশ ধরিয়েছিল। চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে কেন্দ্রের তরফে তৃণমূলনেত্রীকে একটি নোটিশ পাঠানো হয়। কড়া ভাষায় সেই নোটিশে বলা হয়েছিল, অবিলম্বে বাংলো খালি করত হবে। এর মধ্যে এই নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মহুয়া। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। সরকারি বাংলো খালি করার নির্দেশে বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়নি দিল্লি হাইকোর্ট।
গত বৃহস্পতিবার, বিচারপতি গিরিশ কাথপালিয়া জানিয়ে দেন, এমন কোনও আইন বা রেগুলেশন কোর্টের সামনে পেশ করা হয়নি যার ভিত্তিতে বহিষ্কার হয়ে যাওয়ার পরও মহুয়া সরকারি বাংলোতে থাকতে পারবেন। তাই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। তার পরেই মহুয়ার সরকারি বাংলো খালি করার জন্য, শুক্রবার সকালে সেখানে পৌঁছে যায় এস্টেট অধিদফতরের টিম।
মহুয়ার আইনজীবী শাদান ফারসাত বলেছেন যে, ডিওই কর্তৃপক্ষ আসার আগেই বাড়িটি খালি করে দেওয়া হয়েছে, কোনও উচ্ছেদের প্রয়োজন হয়নি। বাড়িটি ডিওই কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরও করা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার ডিওই-র তরফে মহুয়ার সরকারি বাসভবন খালি করতে একটি উচ্ছেদকারি দল পাঠানো হয়। এলাকা ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। এদিকে কর্তৃপক্ষ পৌঁছনোর আগেই সকাল ১০ টার আগে সরকারি বাংলো খালি করে দেন মহুয়া মৈত্র।
উল্লেখ্য, লোকসভা থেকে মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরেই চলতি মাসের সপ্তাহ শুরুর প্রথম দিনেই মহুয়া মৈত্র সরকারি বাসভবন খালি করার নোটিশ পান। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর ‘ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন’ কাণ্ডে লোকসভার সাংসদ পদ খারিজ যায় মহুয়া মৈত্রের। ধ্বনিভোটের মাধ্যমে শিলমোহর পড়ে সেই সিদ্ধান্তে। নানা চাপান উতোরের মধ্যে দিয়ে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ‘সাংসদ’ পদ খারিজের কথা জানান স্পিকার ওম বিড়লা। মহুয়ার বহিষ্কারের প্রতিবাদে তুমুল শোরগোল হয় সংসদে। বিরোধী শিবির এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। মহুয়া সেই সময় বলেন, ‘পুরোটাই বিজেপির চক্রান্ত।’