মোল্লা জসিমউদ্দিন: জেল হেফাজতে থাকা কুন্তল ঘোষ কে নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের প্রতি ফের অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতের দারস্থ হয়েছেন তিনি।তবে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশিকা রয়েছে যে,-‘কুন্তল ঘোষ সরাসরি নিম্ন আদালতে অভিযোগ জানালে তা যেন তাঁর এজলাসে দৃষ্টি আকর্ষণ করানো হয়’।
স্বভাবতই বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে জানানো হয় কুন্তলের নিম্ন আদালতে দাখিল পিটিশনের বিষয়টি। এদিন কুন্তল ঘোষকে সতর্ক করলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। কোনও আবেদন করার আগে সতর্ক হয়ে করতে হবে বলে জানান তিনি।
গত বছর ২১ শে জানুয়ারি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন কুন্তল ঘোষ। তাঁর গ্রেফতারি পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তিনি করেছেন। যা নিয়ে হইচই কম হয়নি।এরইমধ্যে কুন্তল একটি আবেদন করেন নিম্ন আদালতে।কুন্তলের বক্তব্য ছিল, তাঁর সই নিয়েছে সিবিআই।
সেটি সিএফএসএল-এ পাঠানো হয়েছে। সিএফএসএল যাতে তাদের কপি তাঁকেও পাঠায় সেই আর্জিই সিবিআই কোর্টে জানায় কুন্তল ঘোষ। যেহেতু বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ রয়েছে , যা কিছু আবেদন করা হবে তার অনুমতি দেবে হাইকোর্ট। তাই তাঁর আবেদন হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।সিবিআই এদিন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে জানায় -‘কুন্তলের বাজেয়াপ্ত সামগ্রী ইডির কাছে আছে।
এরফলে সিবিআই কোনও হাতের লেখা কোথাও পাঠায়নি’। বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, -‘কুন্তলের এই আবেদনের কোন যথার্থতা নেই। ভবিষ্যতে কুন্তলকে সতর্ক থাকতে হবে এই ধরনের আবেদনের ক্ষেত্রে।’ এছাড়াও এই ধরনের অভিযুক্তরা আইনজীবী মারফত হাতের লেখায় বিভিন্ন আবেদন করছেন। সেগুলি প্রায় পড়া অসম্ভব।
কুন্তল-সহ বাকিদের এই ধরনের সব আবেদন যাতে ভালভাবে টাইপ করা হয় তারও নির্দেশ দেন তিনি । ভবিষ্যতে এই ধরনের হাতের লেখা আবেদন গ্রহণ করা হবে না সিবিআই কোর্টে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৮ ফেব্রুয়ারিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।