পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: দিল্লির চেয়ে কাশ্মীর এখন উষ্ণ। এমনটাই বলছে আবহাওয়া অফিস। শনিবার কাশ্মীরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে দিল্লিতে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রির দিকে ঘোরাফেরা করেছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত ২০ বছরে কাশ্মীরে শনিবারই ছিল জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা। আবহাওয়াবিদদের মতে, গত কয়েক বছর কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় তেমন তুষারপাত হয়নি। যার ফলে উপত্যকার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকছে।
বরফের রানি গুলমার্গ। জম্মু-কাশ্মীরের গুলমার্গকে এই নামেই ডাকেন কাশ্মীরের স্থানীয় বাসিন্দারা। ভূস্বর্গ কাশ্মীর মানে শীতকালে বরফে ঢেকে যায় পাহাড়, উপত্যকা। শীতে তুষারপাত এবং বরফে ঢাকা উপত্যকাকে দেখতে দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক ভিড় করেন কাশ্মীরে। শীতকালে বেশিরভাগ মানুষ কাশ্মীরের গুলমার্গকে বেছে নেন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে। তবে এই বছর এখনও শীতের মরশুমে জম্মু-কাশ্মীরে তুষারপাত হয়নি। শীতের বৃষ্টিও থমকে গেছে। বরফশূন্য গুলমার্গ দেখে চলতি বছরে বিস্মিত কাশ্মীরবাসীও। তুষারপাত না হওয়ায় হতাশ কাশ্মীরে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা। স্কিয়িং, স্নোবোর্ডিং এবং ক্রশ-কান্ট্রি স্কিইংয়ের মতো যেসব রাইড পর্যটকদের টানে, সেগুলোও পর্যটক টানতে পারছে না। কাশ্মীরে তুষারপাত হচ্ছে না জেনে গুলমার্গের বহু হোটেলের বুকিং বাতিল করেছেন পর্যটকরা।
এদিকে, রাজধানী দিল্লির কিছু জায়গায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে তাপমাত্রার পারদ। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দূষণ। ফলে দূষণ নিয়ন্ত্রণের বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে দিল্লি ও লাগোয়া এলাকায়। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সাব-কমিটি রাজধানীর বাতাসের মান যাতে আর না নিম্নগামী হয়, সে জন্য আট দফার ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষ কিছু ক্ষেত্র ছাড়া নির্মাণকাজ ও নির্মাণ ধ্বংসে নিষেধ জারি হয়েছে। লাগোয়া এলাকায় খননকাজেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। রবিবার দিল্লির বাতাসের মান খুব খারাপ পর্যায়ে যেতেই এই সিদ্ধান্ত।