পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ফ্যাশন জগতে ট্যাটু এখন খুবই পছন্দের বিষয়। তরুণদের মধ্যে শরীরে ট্যাটু আঁকানোর চাহিদা খুবই বেড়েছে। সকলেই চান নিজের পছন্দ মতো কোনও না কোনও ছবি শরীরে আঁকিয়ে নিতে। বিগত কয়েক বছরে এলিট ফ্যাশন রাজ্যে পাকা আসন অধিকার করে নিয়েছে ট্যাটু। এবার সখের ট্যাটু প্রাণ কাড়ল যুবকের। এক অপটু শিল্পীর হাতে ট্যাটু করিয়ে মৃত্যু হল বছর ৩২-এর এক যুবকের। ঘটনা ইংল্যান্ডের।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম বেন ল্যারি। বেনের দুই সন্তান রয়েছে। বেন ল্যারি উঠতি এক শিল্পীর কাছ থেকে ট্যাটু করান। ট্যাটু করানোর কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই শরীরে ওই অংশে ‘র্যা শ’ বেরোতে শুরু করে। কিন্তু সেই লক্ষণগুলি অগ্রাহ্য করে বেন। ক্রমশ সেই র্যা শ শরীরের চারপাশে ছড়িয়ে যায়। তখন চিন্তিত হয়ে পরে বেন। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
চিকিৎসকেরা জানান, সাধারণত অসুরক্ষিত সুচ থেকেই ট্যাটু করানোর জন্য সেপসিস পুরো দেহে ছড়িয়ে যায়। এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। ক্রমে তা দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে বিকল করতে শুরু করে। বেনের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। শুধু ট্যাটু নয়, ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জে যে সুচ ব্যবহার হয়, তা থেকেও কিন্তু সেপসিস হতে পারে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত আর্টিস্টের কাছে কোনও রকম লাইসেন্সই ছিল না ট্যাটু করার। আর্টিস্ট স্টেরিলাইজ না করা সুচ দিয়েই ট্যাটু করেছিলেন ওই ব্যক্তির গায়ে। তারপরেই ঘটে এই বিপত্তি। ইতিমধ্যেই সেই ট্যাটু আর্টিস্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইসলামি শরিয়তে দেহের কোথাও এমন ট্যাটু (উল্কি) আঁকার অবকাশ নেই। কেননা, তা মহান আল্লাহর স্বাভাবিক সৃষ্টি সৌন্দর্যের বিকৃতি। পবিত্র কুরআনুল কারীমের আলোকে ট্যাটু বা উল্কি আঁকা নিয়ে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন বলেন, “আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সর্বোত্তম কাঠামো দিয়ে।” (সুরা তিন, আয়াত : ০৪) অন্য আয়াতে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, “আর তারা আল্লাহর সৃষ্টির বিকৃতি করবেই।” (সুরা নিসা, আয়াত : ১১৯)